সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০৭:৫৯ পিএম
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এবার মুখ খুললেন ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি। বারলুসকোনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। হামলা চালাতে প্রলুদ্ধ করা হয়েছে। কিয়েভে জেলেনস্কি সরকারের জায়গায় নতুন একটি সুশীল মানুষের সরকার বসাতে চাওয়ার জন্যই মূলত এ যুদ্ধ শুরু করা হয়েছে।
ইতালিতে যখন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে সে সময় বারলুসকোনি এমন মন্তব্য করলেন। এ নিয়ে তাঁর তীব্র সমালোচনা চলছে। ইতালির ডানপন্থি কোয়ালিশনভুক্ত বারলুসকোনির ফরজা ইতালিয়া পার্টি রবিবার সাধারণ নির্বাচনে জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বারলুসকোনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের দীর্ঘদিনের বন্ধু। নির্বাচনের আগে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর উদ্বেগই আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতালির পাবলিক আরএআই টিভিতে বৃহস্পতিবার বারলুসকোনি বলেছেন, “ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য পুতিনকে ঠেলে দিয়েছে রাশিয়ার জনগণ, তাঁর নিজ দল এবং মন্ত্রীরা।”
“আদতে রাশিয়ার পরিকল্পনা ছিল ‘একসপ্তাহের মধ্যে’ ইউক্রেনের রাজধানী কিইভ দখল করা; দেশটির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকার পরিবর্তন করে একটি সুশীল সরকার বসানো এবং পরের সপ্তাহেই দেশটি থেকে সরে আসা।”
তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় কেন ছড়িয়ে গেল তা বোধগম্য নয় বলেও বারলুসকোনি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, রুশ বাহিনীর কেবল কিইভ ঘিরেই হামলা চালানো দরকার ছিল বলে মনে করেন তিনি।
ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য পুতিন যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা বলেছিলেন, সেখানে ৭ মাসের যুদ্ধ চলাকালে তা সময়ে সময়ে বদলেছে।
প্রথম দিকে রুশ সেনারা কিয়েভ ঘিরে হামলা চালালেও সম্প্রতি তারা রুশ সীমান্তের কাছের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে মনোনিবেশ করেছে। পুতিন এখন বলছেন, তার মূল লক্ষ্য রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী অধুষ্যিত দনবাস অঞ্চল নিরাপদ করা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ইতালির পাবলিক আরএআই টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার বারলুসকোনি আরও বলেছেন, রুশপন্থি বিচ্ছন্নতাবাদীদের এক আবেদনের প্রতিক্রিয়াতেই মস্কো ইউক্রেইনে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি বলেন, "তাদের (বিচ্ছিন্নতাবাদী) নেতারা ক্রেমলিনে গিয়ে সরাসরি পুতিনকে বলেছিলেন, “দয়া করে আমাদের রক্ষা করুন। কারণ, আপনি আমাদেরকে সুরক্ষা না দিলে শেষ পর্যন্ত আমাদের কী হবে তা আমরা জানি না।”
সূত্র: আলজাজিরা