কোভিড-১৯ এর মতো আরেকটি মহামারী যেন পৃথিবীতে না হয় সেই জন্য উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে 'জি৭' নেতারা। ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে আয়োজিত 'জি৭' সামিটের দ্বিতীয় দিন মহামারী বিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানায় বিবিসি।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রয়োজন অনুসারে ১০০ দিনের মধ্যে নতুন ভ্যাক্সিন তৈরির ব্যবস্থাপনা গ্রহণের চিন্তাও রয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বে এ ধরণের ঘটনা যেন আর না ঘটে, তা নিশ্চিতে নজরদারি বাড়ানো হবে বলেও জানান তারা। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-কে আরো শক্তিশালী করার ঘোষণা দেন জি৭ নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে আলোচনার পূর্বে বরিস জনসন বলেন, বিগত বছরে করোনার বিপক্ষে কার্যকর বেশ কিছু ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছি আমরা। তার লাইসেন্স করা হয়েছে এবং উৎপাদন শেষে প্রয়োজন অনুসারে মানুষ তা গ্রহণও করছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করতে হলে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যেন এমন ঘটনা বিশ্বে আর না ঘটে। এর অর্থ হলো গত ১৮ মাস থেকে শিক্ষা নেয়া এবং পরবর্তীতে ভিন্নভাবে তা কাজে লাগানো।'
বিশ্বে বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শুক্রবার সামিটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনদিনের এই সামিটের আয়োজক বরিস জনসন বলেন, আমাদের ২০০৮ সালের 'ভুল' থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং এই 'ক্ষত' পূরণে সমতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে 'জি৭' নেতৃবৃন্দ নিকটস্থ ইডেন প্রজেক্টে রানী এলিজাবেথের আমন্ত্রণে ডিনারে অংশগ্রহণ করেন।
ডিনারের ফটোসেশনে রানী এলিজাবেথ কিছুটা মজা করেই সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, 'তোমরা সময়টি উপভোগ করছো, এমন একটা ভাব নিয়েই তো সকলে থাকা উচিত, নাকি?' তার এই কথা শুনে এ সময় উপস্থিত সকলে হেঁসে ওঠে। এ সময় বরিস জনসন বেশ দ্রুততার সঙ্গেই উত্তরে বলেন, 'হ্যাঁ।'
জি৭ বা 'গ্রুপ অফ সেভেন' বিশ্বে অর্থনৈতিক শক্তিশালী ৭ দেশের একটি সংস্থা যা ১৯৭৩ সালের ২৫ মার্চ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই সংস্থায় বর্তমানে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, ইতালি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। পূর্বে এই সংস্থাটি জি৫, জি৬ এবং জি৮ নামেও পরিচিত ছিলো।
সূত্র: বিবিসি