ডিসেম্বর ২৭, ২০২১, ০৮:২৭ পিএম
মাদার তেরেসা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে ভারত। তদন্তের কথা বলেই অ্যাকাউন্টগুলো জব্দের কথা জানিয়েছে মোদি সরকার। তবে কলকাতায় মাদার হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষে ফোন করা হলে অপর প্রান্ত থেকে বারবার বলা হয়, ‘আমরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করবো না।’
মাদার তেরেসা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে ভারত। তদন্তের কথা বলেই অ্যাকাউন্টগুলো জব্দের কথা জানিয়েছে মোদি সরকার। তবে কলকাতায় মাদার হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষে ফোন করা হলে অপর প্রান্ত থেকে বারবার বলা হয়, ‘আমরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করবো না।’
খবরের সত্যাসত্য জানতে চাইলেও মন্তব্য না করার কথা বলা হয়। তবে মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিশনারিজ অব চ্যারিটির খবর সামনে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ময় প্রকাশ করেন মমতা। টুইটারে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, “বড়দিনের উৎসবের মধ্যে মাদার তেরেসা-র মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে শুনে আমি বিস্মিত। মিশনারিজ অব চ্যারিটির ২২ হাজার রোগী এবং কর্মীরা খাবার এবং ওষুধ পাচ্ছেন না। আইন সবার উপরে হলেও মানবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক নয়।”
কোন তদন্তের প্রয়োজনে এমন সিদ্ধান্ত তা জানা না গেলেও সম্প্রতি গুজরাটে বিতর্কে জড়ায় মাদার তেরেসার সংস্থা। ধর্মান্তকরণের অভিযোগে মোদির রাজ্যে মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের হয়। গুজরাটের বডোদরা শহরে ওই সংগঠনের যে হোম রয়েছে, তার বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা হয় এমন কাজের অভিযোগ উঠে। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয় সংগঠনের তরফে। তাদের দাবি, ওই হোমে কোনওভাবেই জোর করে কাউকে ধর্মান্তকরণ করা হয়নি।
এই অভিযোগ উঠার পর কলকাতায় মাদার হাউসে যোগাযোগ করা হলে কর্মকর্তারা জানান, এ নিয়ে তারা কিছু বলতে চান না।