জুলাই ১৩, ২০২২, ০৪:১০ পিএম
শ্রীলংকার রাজনৈতিক অস্থিরতা কোনোভাবেই যেনো থামছে না। সদ্য সাবেক হওয়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সপরিবারে পালিয়ে মালদ্বীপে অবস্থান করছেন। তবে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগেই তার সরকারি বাসভবন দখল করে নেন বিক্ষোভকারীরা। এবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও তাদের দখলে চলে গেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা।ভেতরে ঢুকে উল্লাস প্রকাশ করছেন তারা। বিক্ষোভকারীদের অনেককেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যালকনিতে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বুধবার প্রকাশিত বিবিসি’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও সেখানে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
এর আগে, কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেও তাদের ঠেকাতে পারেনি পুলিশ।
বিক্ষোভকারীরা দেশ ছেড়ে পালানো প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের সহযোগী রনিল বিক্রমাসিংহেরও পদত্যাগ দাবি করছেন। তবে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্লামেন্টের স্পিকার।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ৩টার দিকে সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে স্ত্রী এবং দুই নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে পালিয়ে যান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তবে ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া মালদ্বীপ থেকে কোথায় যেতে চান তা এখনো জানা যায়নি।
সংবিধান অনুযায়ি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাওয়া রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাবলয়ে গোতাবায়া রাজাপক্ষে সব ধরনের আইনী প্রক্রিয়া থেকে সুরক্ষিত। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে তাকে গ্রেপ্তারে সাংবিধানিক বিধান নেই। আর তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই নিরাপদে তিনি মালদ্বীপে পাড়ি দেন।
প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগের পর গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন শঙ্কা থেকেই তিনি দেশ ছাড়তে চাচ্ছিলেন। তার শঙ্কা ছিল পদত্যাগের পর নতুন প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এর আগে সোমবারও তিনি আকাশ ও সমুদ্রপথে দেশত্যাগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাকে দেশ ছাড়তে দেওয়া হয়নি।