ঋণ খেলাপির প্রক্রিয়া ‍শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কায়: ক্রেটিড রেটিং সংস্থা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৪, ২০২২, ০৮:৪৫ পিএম

ঋণ খেলাপির প্রক্রিয়া ‍শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কায়: ক্রেটিড রেটিং সংস্থা

মুখ থুবড়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। এক বছর ধরে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি কঠিন সংকটে ক্রমে তলিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে আমদানি করা পণ্যের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি জনজীবনকে পর্যুদস্ত করে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার ঋণ খেলাপি হওয়ার প্রক্রিয়া ‍শুরু হয়ে গেছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বের বড় দুটি ক্রেটিড রেটিং সংস্থা।

রেটিং বলেছে, দেশটির সরকারের খেলাপি হওয়ার পথে। শ্রীলঙ্কা নিজেকে ‘আর্থিক দেউলিয়া’ ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির হার দিন দিন বাড়ছে। শ্রীলঙ্কান রুপির বৈদেশিক মান কিছুদিন আগেও ছিল ১ ডলারে ১৯০ রুপি, গত এক মাসে সেটা বেড়ে ২৩০ রুপিতে পৌঁছে গেছে। বর্তমানে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছে, অথচ আগামী এক বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কাকে ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সুদাসলে পরিশোধ করতেই হবে।

বিবিসি লিখেছে, বিদেশি ঋণের কিছু কিস্তি যে আপাতত শোধ করা যাচ্ছে না, এ সপ্তাহেই তা স্বীকার করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে নেমে আসায় তৈরি হয়েছে এ সঙ্কট।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সরকার দেশে ‘অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। কারণ, দেশটি এখন ‘অর্থনৈতিক ধস’-এর সম্মুখীন। বেশ কয়েক মাস ধরে ভয়ংকর খাদ্যসংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

সংকট মোকাবিলায় দেশটির সরকার প্রবাসী নাগরিকদের আরও অর্থ পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর বুধবার আর্থিক সাহায্য হিসেবে মার্কিন, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরো পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।

তিনি বলেন, “এই অর্থ সাহায্য কেবল খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মধ্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ব্যবহার করা হবে।”

ফিচের সর্বশেষ রেটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ‘খেলাপি পর্যায়ের কাছাকাছি’ রাখা হয়েছে, সংস্থাটি বলেছে, শ্রীলঙ্কার ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ‘অপরিবর্তনীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে।

Link copied!