ঘুষের মামলায় ১৫ বছর জেল হতে পারে সু চি’র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্চ ১৮, ২০২১, ০৬:৫০ পিএম

ঘুষের মামলায় ১৫ বছর জেল হতে পারে সু চি’র

মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেতা অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দেশটির সেনা সরকার। মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব টিভি চ্যানেল এমআরটিভি জানিয়েছে, দোষী প্রমাণিত হলে এই মামলায় সু চির ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

অং সান সু চি: গণতন্ত্রের সংগ্রামে বারবার জেল খেটেছেন 

টিভিতে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়, দেশটির সে পিয়াং কনস্ট্রাকশনের সহ-সভাপতি মুং উইক বলছেন, তিনি ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সু চিকে নিজের ব্যবসায়িক কাজ নির্বিঘ্নে চালানোর শর্তে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। চার দফায় সু চির বাসভবনে গিয়ে নিজেই এই নগদ অর্থ দিয়েছেন বলে জানান উইক। তবে তিনি বলেন, এই ঘটনায় তৃতীয় কোনো সাক্ষী নেই।

জান্তা সরকার আরো অভিযোগ করেছে, সু চি ঘুষের কিছু অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ডোউ খিন কি নামের একটি ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জমি ফাউন্ডেশনের অফিসকে লিজ দিয়েছেন এবং বাজার মূূল্যের থেকে অনেক কম দরে নেপিডোতে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য জমি ক্রয় করেছেন।

এর আগে নেপিডোর আদালতে গ্রেপ্তারকৃত সু চি'র বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, টেলিযোগাযোগ আইন ও সহিংসতা উস্কে দেয়ার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ চারটি মামলা দায়ের করে জান্তা সরকার।

সু চি ও মিয়ানমারের গণতন্ত্র: একসূত্রে গাঁথা

জান্তা সরকার সু চি'কে তার আইনজীবীদের সঙ্গেও দেখা করতে দিচ্ছে না। সু চির আইনজীবী জানান, এই সব অভিযোগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সু চি কোনো বেআইনী কাজ করেন নি। গত ১৫ মার্চ আদালতে সু চির শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আদালত কক্ষে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় এটি বাতিল হয়। অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভ দমাতে জান্তা সরকার ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এ পর্যন্ত বিক্ষোভে প্রায় ২’শ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

খবর ও ছবি সূত্র: ব্লুমবার্গ।

Link copied!