সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী: বৈধতার প্রশ্নে পদত্যাগ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ২৯, ২০২১, ০৭:১৭ পিএম

সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী: বৈধতার প্রশ্নে পদত্যাগ

সুইডেনের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরপরই পদত্যাগপত্র জমা দেয়া ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনকে নিয়ে নানা মহলে চলছে আলোচনা। ইতিহাস গড়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে রয়েছে পাঠক আগ্রহ। এ ব্যাপারে ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন কী বললেন তা একনজরে দেখে নেয়া যাক।

বাজেট প্রস্তাব পাস না হওয়ায় পদত্যাগ

গেল বুধবার ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনকে সুইডেনের ক্ষমতাসীন জোটের নেতা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তার জোটের শরিক দল সরকার থেকে সরে দাঁড়ালে এবং অ্যান্ডারসনের বাজেট প্রস্তাব পাস না হওয়ায় পদত্যাগ করেন তিনি।

ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক, গ্রিনস পার্টি মন্তব্য করেছে যে তারা 'প্রথমবারের মতো কট্টর ডানপন্থীদের উত্থাপিত বাজেট' মেনে নিতে পারছে না। তবে অ্যান্ডারসন বলেছেন, একক দলের নেতা হিসেবে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলের এই নেতা বলেন, "কোনো একটি দল জোট ছেড়ে বের হয়ে গেলে জোট সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার সাংবিধানিক একটি চর্চা রয়েছে। আমি এমন একটি সরকারের নেতৃত্ব দিতে চাই না যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।"

বাম দলের সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি

সুইডিশ আইন অনুযায়ী, সিংহভাগ সাংসদ তার বিরুদ্ধে ভোট না দিলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা পান। শেষ মুহূর্তে তিনি বাম দলের সঙ্গে জোট করেন। পেনশনের পরিমাণ বৃদ্ধির শর্তে অ্যান্ডারসনকে সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেয় বাম দল।

সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের জোটের অংশীদার গ্রিন আর সেন্টার পার্টির সমর্থনও আগেই নিশ্চিত করেন ম্যাগডালেনা। তবে পার্লামেন্টে ভোটের আগে বড় ধাক্কা খেতে হয় তাকে। এই দুই দলের এমপিরা ম্যাগডালেনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা না দিলেও বাম দলের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল হলে সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দেন।

সাতারু থেকে রাজনীতিবিদ

উপসালা শহরের সাবেক জুনিয়র সাঁতার চ্যাম্পিয়ন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৯৬ সালে, তখনকার প্রধানমন্ত্রী গোরান পেরসনের উপদেষ্টা হিসেবে। অ্যান্ডারসন গত সাত বছর সুইডেনের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন পদত্যাগ করেন। ২০১৪ সাল থেকে গ্রিন পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে সংখ্যালঘু জোটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে স্টেফান বলেছিলেন, দলের পরবর্তী নেতৃত্বকে যথেষ্ট সময় দিতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করবেন।

Link copied!