'পসেইডন' নামক এক বিশাল পারমাণবিক টর্পেডো পরীক্ষা করে নিজ দেশের সামরিক সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, এমনটাই আশঙ্কা করছেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।
গত সোমবার ব্রিটেনের ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, ক্রেমলিন তথাকথিত 'ডুমসডে' পারমাণবিক টর্পেডো ড্রোন পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে বলে সামরিক জোট ন্যাটো তার সদস্যদের এবং মিত্রদের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন দিয়ে সতর্ক করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, পানির নিচে দিয়ে যাওয়া দূরপাল্লার একটি পারমাণবিক অস্ত্রের নাম পসেইডন। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে যাত্রা করে দূরের উপকূলীয় শহরগুলোতে আঘাত করার জন্য এটির ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা সূত্র টাইমসকে আরও জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে এ ধরনের পরীক্ষা চালানোর আশঙ্কা রয়েছে। গণবিধ্বংসী অস্ত্রসহ 'আমাদের ধ্বংস করে দেওয়ার সমস্ত উপায় ব্যবহার করার' হুমকির বিষয়ে পুতিন অনেক বেশি আগ্রহী যেন তিনি সর্বোচ্চ সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেন।
সাবমেরিনভিত্তিক পারমাণবিক টর্পেডোকে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী এবং অন্য জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য কৌশলগত অস্ত্র হিসেবেও তৈরি করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, অস্ত্রটি দুই মেগাটন ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল, তার চেয়ে অন্তত ১৫০ গুণ শক্তিশালী এটি।
তবে এটি তৈরির কাজ কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা নিয়ে পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
একজন পশ্চিমা কূটনীতিক গতকাল মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেছেন, ন্যাটো পসেইডন সম্পর্কিত কোনো সতর্কতা জারি করেনি।
এ দিকে প্রতিবেদনটিক অস্বীকার করে ক্রেমলিন দাবি করেছে, পরমাণু নিয়ে পশ্চিমাদের বাগাড়ম্বর উক্তি এসব।