ইউক্রেন বিষয়ে রাশিয়াকে আলোচনা ও বিরোধের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জেনেভায় মস্কো ও ওয়াশিংটনের বৈঠকে একদিন আগেই জো বাইডেন প্রশাসন এমনই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে পুতিনকে।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থানীয় সময় রবিবার (৯ জানয়ারি)রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ও সামরিক কর্মকর্তারা এক নৈশভোজে অংশ নেন। সোমবার থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক বৈঠক।
এর আগে গত মাসে ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনে দাবির একটি তালিকা প্রকাশ করে রাশিয়া।দাবিগুলো বেশিরভাগই অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। ওইসব দাবির বিষয়ে আলোচনার জন্যই এবার বৈঠকে বসেছে দুই দেশ।
এদিকে, বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতা ও দেশটির উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াকভ আলোচনা সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
রবিবার জেনেভায় সেই নৈশভোজে অংশ নেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এবং সেনা কমর্কর্তারা। সোমবার আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে এ নৈশভোজ ছিল।
রুশ দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। গতকালের নৈশভোজকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
রিয়াবকভ বলেন, ‘আলোচনা জটিল ছিল। কিন্তু তা কাযর্কর হয়েছে। আগামীতে যেসব বিষয় নিয়ে কথা হবে, আমরা তার দিকে দৃষ্টিপাত করেছি। আমি মনে করি, আমরা সময় নষ্ট করব না। আমি কখনো আশা ছাড়ি না। আমি সব সময় আশা নিয়েই থাকি।’
ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। দ্রুত নোটিশে আরও লাখখানেক সৈন্য জড়ো করার প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এমটাই জানিয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের সামনে দুটো পথ আছে। একটি পথ হলো আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে বিদ্যমান ভিন্নতা সমাধানের চেষ্টা এবং সংঘাত এড়ানো। আরেকটি পথ হচ্ছে সংঘাত। যদি রাশিয়া ইউক্রেনে আবার আগ্রাসন চালাতে চায়, তবে এর জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।’