চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায় বিষয়ক ‘উইঘুর ট্রাইব্যুনাল’র আইনগতভাবে কোনো কিছু করার ক্ষমতা নেই এবং এটি চীনবিরোধী একটি প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ ছাড়া আর কিছুই নয় বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ৮ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ কথা বলেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়ার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঝাঁও লিজিয়ান নামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে বলেন,‘ব্রিটেনভিত্তিক তথাকথিত এই ‘ট্রাইব্যুনাল’ হচ্ছে একটি অর্কেস্ট্রেটেড প্রদর্শনী যেখানে সত্যের কোনো নামগন্ধ নেই; পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত যেখানে বাস্তব যুক্তিগুলো অনুপস্থিত এবং ন্যয়বিচার বহাল রাখার প্রচেষ্টার চেয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর চেষ্টা।’
সংবাদ সম্মেলনে লিজিয়ান আরও বলেন, চীনবিরোধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ‘ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস’ এই তথাকথিত ‘উইঘুর ট্রাইব্যুনালের’ পেছনে বিশাল পরিমাণ অর্থ খরচ করছে।’
তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার বিষয়ে অযৌক্তিক বা অহেতুক মামলা দায়ের করার জন্য উইঘুর ট্রাইব্যুনালের সভাপতি জিওফ্রে নিস বিশ্বের একজন কুখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত। আর চীনবিরোধী পক্ষগুলোর সাথে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।’
বার্তাসংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, চীন সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তদন্তে গঠিত ‘ট্রাইব্যুনালে’ গত ৪ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এই ট্রাইব্যুনালটি বিটেনের রেজিস্টেশন করা একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানি এবং সন্ত্রাসী কার্যাকলাপে সংশ্লিষ্ট আছে চীনের এমন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই ট্রাইব্যুনালকে মোট অংকের অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে।