‘পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার পেছনে সেনাবাহিনীর হাত নেই’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এপ্রিল ৪, ২০২২, ০১:১২ এএম

‘পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার পেছনে সেনাবাহিনীর হাত নেই’

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙ্গে দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আগাম নির্বাচনের ডাক দেওয়ার পেছনে দেশটির সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই। সেনাবাহিনীর আন্ত জনসংযোগ দপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার রবিবার  জিও নিউজকে এ কথা বলেছেন।

জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা  গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার উদ্যোগ নেয়। রবিবার জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে ডেপুটি স্পিকার কাশেম সুরি তা খারিজ করে দেন। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী।

জিও নিউজ রবিবারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার জানান, “এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।”

প্রসঙ্গত, ইমরান খান ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসেন। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইমরান খান মস্কো সফর করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি স্পষ্টভাবেই রাশিয়ার পক্ষে রয়েছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবেও ভোটদানে বিরত থাকে পাকিস্তান। এতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের দূরত্ব আরও বেড়ে যায় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।  

শনিবার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এক অনুষ্ঠানে বলেন, রাশিয়ার বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ থাকলেও এই সংঘাত নিয়ে পাকিস্তান মারাত্মকভাবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত। ছোট একটি দেশের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযান ক্ষমা করা যায় না। ইমরান খান ও প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক যে তিক্ততার পর্যায়ে চলে গেছে শনিবার জেনারেল বাজওয়ার মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক ধরনের চাপ ছিল বলে দেশটির আনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মনে করে থাকেন। আর এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে জিও নিউজে কথা বলেন সেনাবাহিনীর আন্ত জনসংযোগ দপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার।   

Link copied!