শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে অন্যায়কে ন্যায় বানিয়ে ফেলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “এখন থেকে কোনও ধরনের অন্যায় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্র-জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে বিজয় এসেছে, তার প্রতি সম্মান রেখে সততার সঙ্গে আমি দায়িত্ব পালন করবো।”
শপথগ্রহণের পর সোমবার (১২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে প্রথম কার্যদিবসে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সততার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সৈয়দ রেফাত বলেন, “বিগত বছরগুলোতে ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগ, মহাজাগরণ ও অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।”
এ সময় প্রধান বিচারপতির কাছে সিন্ডিকেট মুক্ত বিচার বিভাগ ও জাতির জন্য ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছে তারা ন্যায়বিচারের জন্য তাকিয়ে আছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আপিল বিভাগে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে রীতি অনুযায়ী সংবর্ধনা দেয় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
এর আগে সকাল সাতটায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরে সাভার থেকে সকাল আটটা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘৫২’র ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।