বেতন বাড়লেও কমছে না দুর্নীতি

জাতীয় ডেস্ক

জুন ২৬, ২০২৪, ১০:৪৭ এএম

বেতন বাড়লেও কমছে না দুর্নীতি

প্রতীকী ছবি

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়লেও দুর্নীতি কমেনি। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, “সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানোর পরও দুর্নীতি কেন হবে?” চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর সরকারি কর্মচারীদের হলফনামা আকারে সম্পদের হিসাব দাখিলের বিধান করার দাবি জানান তিনি।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “সরকারি কর্মকর্তারা দেশে বিদেশে বাড়ি, গাড়ি করেন। সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন। কিন্তু দোষ হয় রাজনীতিবিদদের।”

মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার  জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “দুর্নীতি সরকারের সব অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে। সরকার বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতি ঘোষণা করেছে। তারপরও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দুর্নীতির বিধিবিধানকে বরং আরও নমনীয় ও শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। নামমাত্র দণ্ড দিয়ে তাঁদের চাকরিতে বহাল রাখার সুযোগ রাখা হয়েছে।”

মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, “২০১৮ সালে জনপ্রশাসনে তথ্য এসেছিল, এক হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা হয়েছিল। এ রকম হাজার হাজার মতিউর (এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমান) আছেন। এবার ঈদুল আজহায় একটি গরু ১ কোটি টাকা, একটি ছাগল ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যাদের অবৈধ আয় আছে, তারাই এই দামে কিনতে পারে। বৈধ আয়ে এটি সম্ভব নয়।”

রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলে তাঁদের গ্রেপ্তারে অনুমতি নেওয়া লাগে না উল্লেখ করে হানিফ বলেন, “কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে একই ধরনের মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হয়। এই আইন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি করতে উৎসাহিত করছে।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে প্রথমে ভোগের রাস্তা বন্ধ করতে হবে। গাড়ি ও স্বর্ণালংকারের দোকান থেকে তালিকা নিয়ে বৈধ আয়ের উৎস জানতে চাওয়া হোক। একইভাবে জমি, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট রেজিস্ট্রেশন যারা করছেন, তাদের তালিকা নিয়ে আয়ের বৈধ উৎস জানার জন্য কৈফিয়ত চাওয়া যেতে পারে।”

মোতাহার হোসেন বলেন, “আজকে আমরা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছি। আমি ১৯৮৫ সালে যখন উপজেলা চেয়ারম্যান হই, তখন হাতীবান্ধায় ১০টি ইউনিয়ন ছিল। ১৯৮৭ সালে সার্ভে করে হিসাব করলাম ইউনিয়নগুলোর পাকা বাড়িগুলো কাদের। দেখলাম, ৯২ শতাংশ বাড়ি হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের।”

Link copied!