সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
কাজের ফাঁকে অফিসে সহকর্মীর সঙ্গেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। শুনে অবাক লাগলেও বাস্তবেই এমনটা চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মেট্রো এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, রাশিয়া এমন এক বিপদের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে, যা মাথায় রেখেই এই মন্তব্য করেছেন পুতিন। কিন্তু কী সেই বিপদ?
সংবাদমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার জন্মহার হ্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন রুশ সরকার। রাশিয়ার শিশু জন্মহার বর্তমানে নারী পিছু ১ দশমিক ৫। অন্যদিকে স্থিতিশীল জনসংখ্যা বজায় রাখার জন্য দেশটিতে প্রয়োজনীয় জন্মহার নারী পিছু ২ দশমিক ১। সেই সমস্যা মোকাবিলার জন্যই দেশের জনসাধারণকে কাজের ফাঁকেই সঙ্গমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
তবে পুতিনের সঙ্গম–সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার নেপথ্যে এটিই একমাত্র কারণ নয়। সরকারি রিপোর্ট বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায় ১০ লাখ রুশ তরুণ-তরুণী দেশ ছেড়েছেন।
এই নিয়েও চিন্তা বেড়েছে ক্রেমলিনের। আর সেই কারণেও নাকি পুতিনের সরকার কর্মক্ষেত্রে মধ্যহ্নভোজ এবং কফি বিরতির সময়ে সঙ্গমের আরজি জানিয়েছেন দেশবাসীকে।
পুতিন বলেছেন, “রাশিয়ান জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষা আমাদের সর্বোচ্চ জাতীয় অগ্রাধিকার। রাশিয়ার ভাগ্য নির্ভর করে আমাদের মধ্যে কতজন থাকবে তার ওপর। এটা জাতীয় গুরুত্বের প্রশ্ন।”
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েভজেনি শেস্তোপলোভ সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাশিয়ার চাকরিজীবীদের বেশি বেশি করে সঙ্গম করার এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “অফিসে কাজের ফাঁকে যে সময় মিলবে, তাতে দুজন মানুষ আরও কাছাকাছি আসুন। এতে জন্মহার বাড়বে বলে আশাবাদী মস্কো। অফিসের কাজের সময় ব্রেককে কাজে লাগিয়ে শিশু জন্মের সংখ্যা বাড়ানো হোক। পুতিনের মন্ত্রিসভার তরফে এই আবেদনই করা হচ্ছে সবার কাছে।”
দেখা গেছে, ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম রাশিয়ায় জন্মহার সর্বনিম্ন। সরকারি সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের প্রথম ভাগে দেশটিতে ৪৯ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ১৮ শতাংশ।
জন্মহার বাড়াতে নানাবিধ পদ্ধতি অবলম্বন করছে রাশিয়া। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীদের জন্য বিনা মূল্যে উর্বরতা পরীক্ষার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া গর্ভপাতের ক্ষেত্রেও নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।