গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হলে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৯, ২০২৩, ০৯:৩৫ পিএম

গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হলে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

সংগৃহীত ছবি

গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা, এটা এখন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 
এ সময় যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব।

‘মানুষকে জিম্মি করে বিএনপি আন্দোলন করছে’—প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। আমরা সচেতনভাবে সহিংসতা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ উদ্দেশ্যমূলকভাবে শান্তি সমাবেশের নামে প্রতিটি কর্মসূচিতেই আমাদের বাধা দিয়েছে। আমরা যেদিন কর্মসূচি দিয়েছি, সেদিন তারাও কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা কর্মসূচির তারিখ বদল করলে তারাও বদল করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে, কতটা ভয় পেলে তারা এ ধরনের কাজ করতে পারে! আসলে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত ভীত, ভীতসন্ত্রস্ত। যদি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে এরা (আওয়ামী লীগ) নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’

বিএনপির নেতাদের পুরোনো মামলা সচল করার প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) তালিকা করেছে, নির্বাচনের পূর্বেই এই মামলাগুলোকে শেষ করে তারা সাজা দিয়ে দিতে চান। আওয়ামী লীগ এটা করছে কেন? একটিমাত্র কারণ, আওয়ামী লীগ জানে দেশে যদি একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হয়, যেখানে বিরোধী দল অংশ নিতে পারে, জনগণ ভোট দিতে পারে, তাহলে তারা সেখানে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সে কারণেই আজকে সমস্ত অস্থিরতা তৈরি করছে, যে অবস্থার মধ্য দিয়ে জনগণ যেন ভোট দিতে না পারে। এই আওয়ামী লীগ সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে এবং আসন্ন নির্বাচন তারা যেভাবে পার হওয়ার চেষ্টা করছে, তাহলে এই দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১১ আগস্ট শুক্রবার রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। এদিন জুমার নামাজের পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে। বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকেরাও এই কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্য দিয়ে ১৩ দিনের বিরতি দিয়ে এক দফা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি এল।

সবশেষ গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। এর আগের দিন ২৮ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ করে তারা।

নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করব এই কর্মসূচিতে সরকার কোনো বাধা দেবে না। যদি বাধা দেয়, তার দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণ সরকারকেই বহন করতে হবে।’

Link copied!