আগস্ট ১৪, ২০২৩, ০২:১৪ এএম
অর্থের বিনিময়ে হাজতিদের মেডিকেলে পারিবারিক সাক্ষাৎ ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জের এক কারারক্ষীর নামে। তাঁর নাম মানিক মিয়া।
জানা যায়, ১১ আগস্ট বিকাল ৫টায় দুইজন হাজতিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ৭০১ নং ওয়ার্ড নিয়ে আসেন মানিক মিয়া। হাজতি দুজন হলেন রবিন বিশ্বাস (৩৬) এবং আব্দুল আলীম (৩৫)। তাঁদের একজন পেটে ব্যথা ও আরেকজন শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। এসময় হাজতিদের পরিবারের লোকজনকে সাক্ষাতের জন্য মেডিকেলে ফোন করে নিয়ে আসেন কারারক্ষি মানিক মিয়া।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কারারক্ষী বলেন, মানিক মিয়া বিভিন্ন সময় বন্দী নিয়ে আসেন হাসপাতালে। এরপর বাসায় ফোন করে তাঁদের স্ত্রীদের নিয়ে আসেন এবং বাসার খাবারের ব্যবস্থা করে দেন কারা কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই। শুধু তাই নয়, আত্মীয়দের সাথে মোবাইলে কথা বলিয়ে দেন যখন-তখন।
এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ১২ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে সরেজমিনে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের প্রতিবেদক জানতে পারেন, ১১ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে একজন হাজতিকে নিয়ে আসেন মানিক মিয়া। এর কিছুক্ষণ পরেই হাজতির আত্মীয়স্বজন তাঁকে বাসা থেকে খাবার এনে খাওয়ান।
এ বিষয়ে কথা হয়, ৭০১ নম্বর রুমে ভর্তি রোগী রোজিনার সাথে। তিনি জানান, “আগের দিন পুলিশ যে রোগী নিয়া আসছে, তাঁর বউ আর বাচ্চাও দেখা করতে আসছে। বাসার রান্না খাবারও খাওয়াইছে। তবে যাওয়ার সময় পুলিশের লগে ঝগড়া হইছে টাকা পয়সা নিয়া । অনেক চিৎকার চেঁচামেচিও হইছে। পরে আরেক পুলিশ মনে হয় পুলিশগো স্যার আসার পর ঝগড়া থামাইছে।”
এ বিষয়ে সেই ওয়ার্ডে থাকা আরেক রোগী জানান, “হ রোগী আসামী নিয়া আইসা পুলিশের লগে ঝামেলা হইছে।”
ওই ওয়ার্ডে থাকা আরও রোগীর সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা জানা যায়।
অনুমতি ছাড়া হাজতিদের এভাবে সাক্ষাৎ করানো নিয়ম বহিঃভূত কিনা জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেলের কারারক্ষীদের দায়িত্বে থাকা ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ ‘এমন কোন ঘটনা ঘটেনি’ বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, এধরনের কোন অপরাধ কোন কারারক্ষী করে থাকলে কারাবিধি অনুযায়ী যে শাস্তির বিধান রয়েছে তা দেওয়া হবে।