রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগের দু`পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাদেরকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হল। তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী সাতদিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।
এ বিষয়ে শাহিনুল সরকার ডন বলেন, “আমাদের কি দোষ ছিল, কি কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হল আমরা কিছুই জানি না। আমাদের সাতদিনের সময় দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর জন্য। আমরা এ বিষয়ে উপযুক্ত জবাব দিব।”
আরেক বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান অপু বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে কেন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল আমি জানি না৷ সম্প্রতি এমন কোনও ঘটনার সঙ্গেও আমি সম্পৃক্ত না যেটা কোনও দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। আমি মনে করছি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে।”
তবে এ বিষয়ে বহিষ্কৃত অন্য দুই নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেন নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে গত তিন চারদিন ধরে বহিরাগত ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছিল, তাদের বহিস্কার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হল ছাত্রলীগে অন্যায়কারীর জায়গা নাই, অন্যায়কারীর কোনও দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। ভবিষ্যতে কেউ শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করার পূর্বে ভাবতে বাধ্য হবে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।”
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে যাদের নাম এসেছিল, তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তাদের কারণ দর্শানোর একটি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কেউ যদি নির্দোষ হয়, তাহলে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেব আমরা। আর দোষ প্রমাণিত হলে, তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।