ইনজেকশনের প্বার্শ প্রতিক্রিয়ায় শিশু আয়ানের মৃত্যু হতে পারে: তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম

ইনজেকশনের প্বার্শ প্রতিক্রিয়ায় শিশু আয়ানের মৃত্যু হতে পারে: তদন্ত প্রতিবেদন

শিশু আয়ান।

সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাড্ডার ইউনাইটেড হাসপাতালে দেওয়া ইনজেকশনের প্বার্শ প্রতিক্রিয়ায় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে শিশু আয়ানের মস্তিষ্ক’।

আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক ডা.পরিমল কুমার পাল এই তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আজ এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্নতে খতনা শেষে শিশু আয়ানের জ্ঞান ফেরার মুহূর্তে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। এসময় তাকে যে ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়েছে তার প্রভাবে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হতে পারে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার পর আইসিইউতে স্থানান্তর করতে যে সময় নষ্ট হয়ন তখন আয়ানের মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তখন সিটি স্ক্যান করানো হলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়তো। এছাড়াও সিপিআর (কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার প্রক্রিয়া) করার ফলে তার বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়ে থাকতে পারে।

এর আগে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে ১৫ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুলে আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

এরই মধ্যে এই ঘটনায় বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার (১৪ জানুয়ারি) এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবন্ধন না থাকায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শে চেতনানাশক দিয়ে খৎনাও করা হয়। পরে দুই চিকিৎসক অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ সাব্বির আহমেদ ও ডাক্তার তাসনুভা মাহজাবিনসহ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিশুটির বাবা।

Link copied!