সমাবেশে দায়িত্ব পালনে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকরা; রাবার বুলেটেও আহত অনেকে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২৯, ২০২৩, ০৭:৩০ এএম

সমাবেশে দায়িত্ব পালনে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকরা; রাবার বুলেটেও আহত অনেকে

দ্য রিপোর্টের ভিডিওগ্রাফার তাহির জামান প্রিয় রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হন। ছবি: দ্য রিপোর্ট

২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। বিশেষ করে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সংবাদ প্রচারের সময় দ্য রিপোর্টের ভিডিওগ্রাফার তাহির জামান প্রিয় রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হন। তাঁর হাতে-পায়ে বুলেট আঘাত করে। এছাড়াও ডেইলি নিউ এজের সাংবাদিক আহমেদ ফয়েজ মাথায় রাবার বুলেটের আঘাত পান। 

কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় বিএনপি কর্মীরা দৈনিক কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার মো. রাফসান জানির ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তাঁকে রড দিয়ে পেটায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে বিএনপি কর্মীদের হামলার শিকার হন একই দৈনিকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তৌহিদুল ইসলাম তারেক। কালবেলার আরেক সাংবাদিক আবু সালেহ মুসা আওয়ামী লীগ কর্মীদের মারধরের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করেছেন। এই দৈনিক পত্রিকার আরেক প্রতিবেদক রবিউল ইসলাম রুবেল ইট-পাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।

এছাড়াও কাকরাইলে দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন মাধ্যমের প্রতিবেদক তানভীর আহমেদ ও শেখ নাসিরের ওপর হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা। সংঘর্ষের ভিডিও ধারণকালে ইত্তেফাকের সাংবাদিক জানার পর বিএনপি কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তারা।

এদিকে বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিলের ছবি তোলার সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত হন দৈনিক ইনকিলাবের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার এস এ মাসুম। মাসুমের সহকর্মীরা জানান, ওই মিছিলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হামলা চালায়। কিন্তু মাসুমের সাথে প্রেসকার্ড থাকলেও পুলিশ ও বিক্ষোভকারীরা মাসুমকে মারধর করে। তাকে উদ্ধার করে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হামলার শিকার হয়েছেন একুশে টিভির দুই সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান ও আরিফুর রহমান। তাদের বহনকারী গাড়ি থামিয়ে নামতে বাধ্য করা হয়। তাদের ক্যামেরা ফেলে দেওয়া হয় এবং গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় দৈনিক কালের কণ্ঠের দুই ফটোসাংবাদিক বিভাগীয় ইনচার্জ শেখ হাসান আলী ও স্টাফ ফটোগ্রাফার লুৎফর মারধরের শিকার হন।

এদিকে নটরডেম কলেজের সামনে বিএনপি কর্মীদের হামলার শিকার হন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস। এছাড়াও দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে আহত হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, আলোকচিত্রী সাজ্জাদ হোসেন ও রিপোর্টার জোবায়ের আহমেদসহ তিন সাংবাদিক।

কাকরাইলে হামলায় আহত হন পলিটিক্যাল নিউজ বিডি নামক একটি অনলাইনের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট মারুফ হাসান। হামলার পর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে সময় টেলিভিশনের একটি গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর এভাবে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।

Link copied!