দলের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত ও সরকার বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে আগামী মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে এই ধারাবাহিক বৈঠক শুরু হবে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সরকার বিরোধী আন্দোলন বিষয়ে দলের নেতাদের মতামত নিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারই অংশ হিসেবে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার (২১-২২সেপ্টেম্বর) দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ২৯৩ জন সদস্য এবং বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক-সদস্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ধারাবাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টামণ্ডলী, দ্বিতীয় দিন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক এবং শেষ দিন দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। তিন দিনের ধারাবাহিক বৈঠকে মোট ২৮৬ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ১১৮জন নেতা বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা বিগত তিনটি ধারাবাহিক বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন। এসব বৈঠকে নেতাদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে তাঁরা তাঁদের কর্মপরিকল্পনা করার বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একমত হন। আগামী আন্দোলনকে সামনে রেখে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়ে তারাও একমত হন। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরাম। ধারাবাহিক বৈঠকের পর বিভিন্ন পেশাজীবীসহ নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বসার বিষয়েও কয়েকজন নেতা মত দিয়েছেন। তবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।