প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের ছেলেরা যা পারেনি, মেয়েরা তা পেরেছে। ছেলেরা শুনলে একটু রাগ করবে। রাগ করার কিছু নেই।’
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের উপস্থিত খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। খেলার জগতে আসলেই আমার পরিবারের কথা মনে পড়ে। আমার দাদা ফুটবল খেলতেন, আমার বাবা ফুটবল খেলতেন। আমার দাদা ও বাবা খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আমার ভাই শেখ কামাল ফুটবল খেলতেন। জামাল ফুটবল, ক্রিকেট খেলতেন। আমার বাসাটাই ছিল স্পোর্টস জগত। আমার পরিবারটা খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত। আবাহনী ক্রীড়াচক্র যখন তৈরি করা হয় তখন আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছিলাম।
সাফজয়ী দলের ২৩ ফুটবলারের প্রত্যেককে ৫ লাখ এবং কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা হিসেবে ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। সেপ্টেম্বরে সাফ উইমেনস টুর্নামেন্টে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। এ জন্য এই ফুটবল দলকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফজয়ী খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তাদের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন।
মেয়েদের হাত ধরে উনিশ বছর পর ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব আসে বাংলাদেশে। ছাদখোলা বাসে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেয়া হয় তাদের, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে ছিল অনন্য নজির। রাষ্ট্রীয় কাজে তখন দেশের বাইরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই দেশে ফিরেই সংবর্ধনার দিন ঠিক করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন ও বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী স্মারক প্রদান করেন বাফুফের সভাপতি।
এর আগে সাফে জয় নিয়ে সাবিনারা দেশে ফিরলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছিলেন, সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের সবার ঘরের অবস্থা পরিদর্শন করে তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাদের ঘরের অবস্থা ভালো নয়, যাদের ঘর দরকার, তাদের নতুন ঘর বানিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
