করোনাযুদ্ধে চীনের অবদানের প্রশংসায় বাংলাদেশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

ডেস্ক রিপোর্ট

আগস্ট ১৪, ২০২১, ০৫:৩২ পিএম

করোনাযুদ্ধে চীনের অবদানের প্রশংসায় বাংলাদেশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকবিলায় চীনের সহযোগিতা ও অবদানের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে বৈশ্বিক কোভিড-১৯ বিরোধী লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শি জিনপিং সরকারের অঙ্গিকার প্রতিফলিত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

গত ১৩ আগস্ট বেইজিংভিত্তিক চাইনিজ গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বের সব মানুষের সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক পাওয়া নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম হল-কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে জাপান, যুক্তরাস্ট্রের মতো চীনও করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে।

সিজিটিএন’র খবরে  বলা হয়, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাতে চীনের  পাঠানো সিনোফার্মের  ১৭ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলায় চীনের অবদানের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার ভ্যাকসিন পাঠানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে ওই চালানটি ছিল প্রথম। বিশ্বের উন্নয়নশীল ও গরীব দেশগুলোকে চলতি বছরের মধ্যে ২০০ কোটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বলে সম্প্রতি চীন অঙ্গিকার করে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম কোভ্যাক্সকে একশো মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ারও প্রস্তাব করেছে বেইজিং।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশীয় অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা মুজাহেরুল হক মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) জানিয়েছেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি মহৎ প্রচেষ্টা এবং ক্ষুধা জর্জরিত যেসব দেশ যাদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন কেনার সামর্থ নেই, ওইসব দেশের জনগণ চীনের এই প্রকল্পের বহুল প্রশংসা করবে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক এই উপদেষ্টা আরও বলেন, চীনের দুইটি করোনা ভ্যাকসিনের কোভ্যাক্সে অংশগ্রহণ হবে বড় ধরণের অবদান।’

করোনায়  বিশ্ব যখন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ এই ভ্যাকসিন নিয়ে কূটনৈতিক খেলায় নেমেছে উল্লেখ করে মুজাহেরুল হক আরও বলেন, ‘চীন দেখিয়েছে তারা সংকটকালে মানুষের জীবন বাঁচাতে গরীব দেশগুলোকে সহায়তা করতে চায়।’

দেশটির ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওক্সুর বরাত দিয়ে সিজিটিএন’র খবরে বলা হয়, করোনা মহামারি থেকে জনগনকে বাঁচাতে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চীন এ পর্যন্ত ৮০ কোটি ডোজ  টিকা সরবরাহ করেছে।

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এর উপদেষ্টা এম মুশতাক হুসেইন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের দেশব্যাপী গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে চীনের কাছ থেকে পাওয়া ভ্যাকসিন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ 

তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভ্যাকসিনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চীন কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে অনেক টিকা দেওয়ায় আমরা খুবই খশি।” বাংলাদেশের জনগণ উৎসাহের সঙ্গে চীনের এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করছেন বলেও জানান বাংলাদেশের এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

 

Link copied!