‘২৬ ঘণ্টা ডিউটি করে ক্লান্ত চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, আর এতেই ঘটে দুর্ঘটনা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম

‘২৬ ঘণ্টা ডিউটি করে ক্লান্ত চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, আর এতেই ঘটে দুর্ঘটনা’

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকায় ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ছয় জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার  ভোরে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানা সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগী ও তার স্বজন এবং চালক-হেলপার সবাই প্রাণ হারিয়েছেন।

চালক রবিউল ইসলামের (২৮) বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলছে, তিনি টানা ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

শিবচর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার ২০০ থেকে ৩০০ মিটার সামনে ভোর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা জেনেছি অ্যাম্বুলেন্সের চালক রবিউল টানা ২৬ ঘণ্টা ডিউটিতে ছিলেন। এ কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। সম্ভবত গাড়ি চালাতে চালাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ কারণে চলন্ত ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই চালকসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন প্রাণ হারান।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যে ট্রাকের পেছনে অ্যাম্বুলেন্সটি ধাক্কা দিয়েছিল সেটি এলপি গ্যাস বোঝাই। আর অ্যাম্বুলেন্সটি বরিশাল থেকে রোগী নিয়ে ঢাকার দিকে আসছিল।

নিহতরা হলেন- রোগী জাহানারা বেগম (৫৫), স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি (২৮), রোগীর মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০), গাড়ি চালক জিলানি (২৮), গাড়ির হেলপার রবিউল ইসলাম (২৬) ও সাংবাদিক মাসুদ রানা (৩০)। এর মধ্যে রবিউল ইসলামের বাড়ি ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায়। এ ছাড়া মাসুদ রানা দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো চিফ।

Link copied!