চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের ফের অবরোধ, বন্ধ শাটল ট্রেন ও বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০৫:০২ পিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের ফের অবরোধ, বন্ধ শাটল ট্রেন ও বাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করে পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়ে ক্যাম্পাসের ফটকে তালা দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। এই অবরোধ আজ সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের ছয়টি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এর আগে একই দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরেও তালা মেরে দেন তারা।

গ্রুপগুলো হলো আরএস, বাংলার মুখ, ভিএক্স, কনকর্ড, উল্কা ও এপিটাফ।

একই দাবিতে গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন, ৮ সেপ্টেম্বর গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, ৬ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন ও ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন।

অবরোধের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বহনকারী বাস। এছাড়া শাটল ট্রেন ষোলোশহর রেলওয়ে স্টেশনে আটকে রাখা হয়েছে।

শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়ে আসছিলাম অনেক দিন ধরে। আমাদের কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য না করতে অনুরোধ করেছি। কোনো লাভ হয়নি। পদবঞ্চিতদের আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের এ দায়ভার শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকেই নিতে হবে।

গত ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনটির কেন্দ্রীয় দপ্তর চবি শাখার ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে। কমিটি ঘোষণার পরই পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৪টি হলের প্রায় ৩০টি কক্ষ ভাঙচুর করেন।

এদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দিয়ে অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা নতুন শাখা কমিটি গঠনের দাবি জানান। এই অচল অবস্থা অব্যাহত থাকে ২ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি বিভাগের ১১টি চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল।

তাদের দাবিগুলো হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন, কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

Link copied!