চীনের সাথে ফ্লাইট চালুর অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২০, ২০২১, ১১:৩৩ পিএম

চীনের সাথে ফ্লাইট চালুর অনুমতি

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সময় বিশেষ বিবেচনায় চীনের সঙ্গে আকাশপথ খুলে দিল বাংলাদেশ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক চিঠিতে চীনের সঙ্গে বিমান চলাচলের কথা মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) জানানো হয়েছে।

চিঠিতে কি রয়েছে

বেবিচক এয়ার ট্রান্সপোরটেশন বিভাগের পরিচালক একেএম ফাইজুল হকের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, চায়না সাউদার্ন ও চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসকে চীনের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। অবশ্য এর জন্য এয়ারলাইনসগুলোকে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে বেবিচক।

এয়ারলাইনসগুলো শুধু পয়েন্ট টু পয়েন্ট যাত্রী বহন করতে পারবে। করোনা টিকা নেয়া থাকলেও যাত্রীদের যাত্রার নির্ধারিত সময়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষা সম্পন্ন করে নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

যাত্রী বহনে রয়েছে শর্ত

ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া মাঝারি আকারের উড়োজাহাজে যাত্রী পরিবহনে কোনো সংখ্যা নির্দিষ্ট করা না হলেও সুপরিসর উড়োজাহাজে সর্বোচ্চ বহন করা যাবে ২৮০ যাত্রী। আর বোয়িং ট্রিপল সেভেন বা সেভেন ফোর সেভেন উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩২০ জন। আর ঢাকায় আসা মাঝারি আকারের উড়োজাহাজে যাত্রী সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়েছে ১০০ জনে। আর সুপরিসর উড়োজাহাজে এ সংখ্যা রাখা হয়েছে ১৫০ জন।

এ ছাড়া উড়োজাহাজের ইকোনমি ক্লাসে একটি সারি ও বিজনেজ ক্লাসে একটি কেবিন সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত যাত্রীর জন্য রাখতে বলা হয়েছে। এই অবস্থা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।

বিমান চলাচলে বিধিনিষেধ 

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি।

এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথমে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ অবস্থা চলার কথা থাকলেও সোমবার বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকেই বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট। তবে চিকিৎসা, পণ্যবাহী ও বিশেষ ফ্লাইটকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

অবশ্য পরে প্রবাসী কর্মীদের কথা বিবেচনায় রেখে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে গত শনিবার থেকে শতাধিক বিশেষ ফ্লাইট অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই পাঁচ দেশ হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানসহ মোট ১২টি দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনস যাত্রী পরিবহনের সুযোগ পাচ্ছে। এগুলো হলো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি ও ফ্লাই দুবাই।

Link copied!