ডিএনসিসি মেয়র ও ওয়াসার এমডিকে কারাগারে পাঠাতে চান নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ১২:২৪ এএম

ডিএনসিসি মেয়র ও ওয়াসার এমডিকে কারাগারে পাঠাতে চান নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান

ঢাকার চারপাশের নদী দূষণের দায়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের জেল ও চার লাখ টাকা জরিমানা করতে চান জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী।

রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।  

মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিদিন মানুষ ৫০ লাখ কেজি মল ও ১৫০ কোটি লিটার মূত্র উৎপাদন করে। ঢাকা ওয়াসার দায়িত্ব ছিল এগুলো শোধন করা, কিন্তু এগুলো সিটি করপোরেশনের পানি নিষ্কাশন নালার মাধ্যমে নদ–নদীতে গিয়ে পরে।

মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, পয়ো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায ব্যর্থতার কারণে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান ও ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামকে মোবাইল কোর্টের সম্মুখীন করব আমরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার খালগুলোর অবস্থাও এখন ভালো নয়। কিন্তু অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। বরংচো ডিএসসিসির মেয়রকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। ধন্যবাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, খালের দূষিত পানি যাতে নদীতে গিয়ে না পড়ে সে জন্য ডিএসসিসি মেয়র খালের মুখে বর্জ্য শোধনাগার করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী ও পরিবেশ নিয়ে এখন কিছুটা রাজনীতি হচ্ছে। নদী ও পরিবেশ নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে বল অভিযোগ করেন তিনি।

ঢাকার চারপাশের নদ–নদী রক্ষায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যথাযথ চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদ–নদী অবৈধ দখলের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি দখলমুক্ত করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ কাজটি ভালোভাবে করেছে। প্রতিমন্ত্রী আশা করেন, ঢাকার চারপাশের নদ–নদীকে ঘিরে যে চ্যালেঞ্জ, সেই চ্যালেঞ্জে তিনি জয়ী হবেন।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় অধ্যাপক আইনুন নিশাত, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডির নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

Link copied!