ডিজিটালের পর এখন ক্যাশলেস দেশ গড়ব: সজীব ওয়াজেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২৫, ২০২১, ০৩:১২ এএম

ডিজিটালের পর এখন ক্যাশলেস দেশ গড়ব: সজীব ওয়াজেদ

বাংলাদেশে এখন পুরোটাই ডিজিটাল করার ভিত গড়া হয়েছে। আগামীতে আর্থিক লেনদেন সহজ করতে ক্যাশলেস সোসাইটিতে গড়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যার ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে একজন ক্রয় বিক্রয় করতে অনলাইনেই লেনদেন করবে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে ‘ব্লেইজ’ সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।  ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেমিট্যান্স আনার জন্য  সোনালী ব্যাংক, হোমপে ও আইটিসিএল এর  যৌথ উদ্যোগে এই সেবাটি চালু করা হয়।

করোনা মোকাবেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো করোনাকালীন সময়ে কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে। এছাড়া কিভাবে সেবা প্রদান করবে তা নিয়ে হিমশিম খায়। কিন্তু বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সব ধরনের প্রস্তুতি আগে থেকে নেয়ার কারনেই আমাদের দেশে করোনা মোকাবেলায় সকল প্রতিকূলতা খুব সহজেই উত্তরণ করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে হবে। যেন একজন গ্রামীণ মহিলাও কেনাকাটায় অনলাইনেই পেমেন্ট করতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে ব্লেইজ সার্ভিসটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। 

প্রবাসী অর্থ লেনদেন আরও সহজ হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে টাকা পাঠাতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হত। অনেক সময় ব্যাংকিং নিয়মের ফলে দুইদিনও লেগে যেত অর্থ পেতে। কিন্তু এই ক্যাশলেস লেনদেনে মুহুর্তেই লেনদেন হবে। যার ফলে সময় ও ঝামেলা দুটোই কমে যাবে।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করেন। এছাড়া ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ব্যক্তিদেরও স্মরণ করেন তিনি।

মাত্র ৫ সেকেন্ডেই মিলবে টাকা

প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ বিশ্বের যে কোন প্রান্ত হতে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মাত্র ০৫ সেকেন্ডে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা  সোনালী ব্যাংক, Homepay ও ITCL এর  যৌথ উদ্যোগে ‘Blaze’ সার্ভিস এর মাধ্যমে রেমিট্যান্স  গ্রাহকদের হিসেবে জমা হবে।

প্রসঙ্গত, বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও এই প্রণোদনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় সরকার।

পূর্ব প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের 

করোনা ভাইরাসের আগেই ডিজিটালাইড বাংলাদেশ গড়ে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে ৯৯৯ ও ২০১৮ সালে ৩৩৩ হট লাইন চালু করি। যার ফলে করোনাকালীন সময়ে সাধারণ জনগণদের চাওয়া পাওয়া দ্রুত আমাদেরকে জানাতে পেরেছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আগে থেকেই এই সকল বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি ছিল। তাই করোনার মত মহামারীও আমরা খুব সহজেই মোকাবেলা করতে পারছি। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের সিইও, আতাউর রহমান প্রধান, সামি আহমেদ, এলআইসিটি; রুবেল আহসান, সিইও হোমপেজ।

Link copied!