নির্বাচন কমিশনারদের আইনের আওতায় আনা হোক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৩, ২০২২, ১০:১৯ পিএম

নির্বাচন কমিশনারদের আইনের আওতায় আনা হোক

বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এমন দাবি জানান।

রবিবার জাতীয় সংসদে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ নামে খসড়া আইন উত্থাপনের বিরোধিতা করে তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদে এমপি হারুন বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের (বর্তমান নির্বাচন কমিশন) মেয়াদ শেষ হবে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোর ব্যাপারে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি।”

এর আগে, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক আইনটি সংসদে উত্থাপনের জন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের অনুমতি চান।

বিগত রকিব কমিশন এবং হুদা কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ‍উল্লেখ করে এমপি হারুন বলেন, “আমি আইনমন্ত্রীকে স্পষ্টভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৬ সালে যখন বাংলাদেশের কে এম হাসানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল- তখন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছিলেন নির্বাচন কমিশন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংস্কার ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না। ১৯৯৫-৯৬ সালে দীর্ঘ ১৭২ দিন হরতালের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না।”

তিনি আর বলেন, “নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সার্চ কমিটি বিষয়ে যে আইন করা হচ্ছে। সারাদেশের লোকজনের দাবি ছিল অন্তত এই আইনটির বিষয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে জায়গা থেকে যেন আমরা বেরিয়ে আসতে পারি।”

এই আইনে নতুন কিছু নাই দাবি করে এমপি হারুন আরও বলেন, “শুধু অতীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে তাদের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ এই আইন দিয়ে বর্তমান সংকট কখনও নিরসন হবে না। এই সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব না। সুতরাং আমি দাবি করব অবশ্যই এই আইনটি প্রত্যাহার করুন। আইনমন্ত্রী কিছুদিন আগেই বলেছিলেন এ ধরনের একটি আইন করার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং সমাজের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এই কথাটি বলার পর আজকে তিনি কীভাবে এ ধরনের আইন আনতে পারলেন?”

Link copied!