নির্বাচন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে ৭ বছরের সাজা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৯, ২০২৩, ০২:১৭ এএম

নির্বাচন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে ৭ বছরের সাজা

নির্বাচন চলাকালে বৈধভাবে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকের কেন্দ্রে প্রবেশে ও কাজে যে কোনো ব্যক্তি বাধা দিলে দুই থেকে সাত বছরের সাজা খাটতে হবে। এছাড়া, নির্বাচনের পুরো ফলাফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করতে পারবে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় গণপ্রতিনিধিত্ব আইন-২০২৩ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে গুরুত্ব পেয়েছে ইসির নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা নিয়ে। কোনও কেন্দ্রে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা হলে ইসি নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল। গেজেট প্রকাশের পরও সেই ক্ষমতা চেয়েছিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও  জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবে রাজি নয় মন্ত্রিসভা। পুরো আসন নয়, শুধু এক বা একাধিক কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ বা বাতিল করতে পারবে ইসি। সবদিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলাভিত্তিক নন, আসনভিত্তিক করার বিধানও যুক্ত হয়েছে সংশোধনীতে।

মো. মাহবুব হোসেন  জানান, নির্বাচন চলাকালে কোনো ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম, কারসাজি ও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে নির্বাচন কমিশন সেই কেন্দ্রের ভোট বা ফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবে। তবে নির্বাচনের পুরো ফলাফল বাতিল করতে পারবে না।

এ ছাড়া মনোনয়ন দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ করলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও আপিল করা যাবে বলেও তিনি জানান।

মন্ত্রিপরিষদ আরও জানান, একইসঙ্গে সংশোধিত আইনে একটি নতুন ধারা যোগ করা হয়েছে। নতুন ধারা অনুযায়ি মিডিয়াকর্মীদের ওপর হামলা হলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৮ মার্চ আইনটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার(১৮ মে) এই আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলো।

Link copied!