জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চায় না বলেও জানায় দলটি। এছাড়া, দেশের আট বিভাগে আট দিনে ভোটগ্রহণসহ বেশ কিছু প্রস্তাব করেছে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করা এই দলটি।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত সংলাপে জাপার প্রতিনিধিরা এগুলোসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
বৈঠকে জাপার প্রস্তাবগুলো হলো-
১. ইভিএমে ভোটগ্রহণ না করা।
২. ভোটারদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আট বিভাগে আট দিনে ভোটগ্রহণ করা।
৩. কমিশন আইনের ১২৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন করা, যাতে কমিশনের কথা না শুনলে কমিশন নিজেই শাস্তির বিধান করতে পারে।
৪. ভোটের আনুপাতিক হারে আসনের প্রস্তাব।
৫. ভোটের সময় নির্দেশনা না মানলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ইসির অধীনে কর্মরত সব কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন করা।
৬. নির্বাচনি খরচ বাবদ একজন প্রার্থীর ২৫ লাখ টাকা পরিবর্তন করে ৫০ লাখ টাকা করতে হবে।
৭. ইউটিলিটিস বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিলের জন্য প্রার্থিতা বাতিলের যে বিধান বর্তমানে বহাল আছে তা বাতিল করতে হবে।
৮. সরকারি কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার পরে সরকারের মালিকানাধীন, আংশিক মালিকানাধীন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে পারবে না।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে জাপার ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
প্রতিনিধি দলের অন্যরা হচ্ছেন-পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভূইয়া ও যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৭ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপ বর্জন করে।