মানুষের মধ্যে একটা অদ্ভুত বিষয় আছে। যেটা তাকে নিষেধ করা হবে, সেদিকেই তাকে যেতে হবে। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি কৌতুহল অবদমিত রাখতে অপারগ মানুষ। এ কারণে দুর্গম স্থানে অনেক রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষকে অভিযান করতে দেখা যায়।
আপনি জেনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলোতে যাওয়া নিষিদ্ধ। এর মধ্যে আজ আমরা জানবো ছয়টি নিষিদ্ধ জায়গার কথা।
এরিয়া ৫১
যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত `এরিয়া ৫১` সামরিক ঘাঁটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় জায়গা। সেখানে কী হয়, তা আজ পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত করে বলেনি। ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত মার্কিন সরকার এই জায়গার অস্তিত্ব স্বীকারই করেনি।
স্নেক আইল্যান্ড
ব্রাজিলের ইলহা ডি কুইমাডা গ্র্যান্ডে দ্বীপকে স্নেক আইল্যান্ড বা সর্পদ্বীপ বলা হয়। কারণ এটি প্রাণঘাতী সাপের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। গোল্ডেন ল্যান্সহেড ভাইপার এতই বিষাক্ত যে এটি কামড়ালে আশেপাশের মাংস পর্যন্ত গলে যায়।
লেসকো গুহা
১৯৪০ সালে ফ্রান্সের লেসকো গুহায় প্রাগৈতিহাসিক যুগের চিত্রকর্মের সন্ধান পাওয়া যায় ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এটি একটি পর্যটন স্থানে পরিণত হয়।
উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ
বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ উত্তর সেন্টিনেল। এই দ্বীপ সম্পর্কে মানুষের কেবল ধারণাই রয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। ধারণা করা হয়, এই দ্বীপের বাসিন্দারা ৬০ হাজার বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে। তারা পুরো পৃথিবী থেকে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।
চেরনোবিল
১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল ইউক্রেনের চেরনোবিলের কাছে একটি বিস্ফোরণ ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত পারমাণবিক দুর্ঘটনা। ধারণা করা হয়, চেরনোবিল বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট বিকিরণের কারণে ক্যান্সারে ৯ হাজার থেকে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ এই ঘটনার পর থেকে ৩০ বছরেরও বেশি সময় পার হলেও বিকিরণ বন্ধের প্রকল্পগুলো এখনও চলমান।
স্ভালবার্ড সীড ভল্ট
নরওয়ে ও উত্তর মেরুর মাঝামাঝিতে অবস্থিত এই সীড ভল্টকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফ্রিজার বলা হয়। বিশাল এই শস্যাধারকে এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, যাতে মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এটি অক্ষত থাকে। পৃথিবীতে যদি ভয়াবহ কোনো দুর্যোগের ঘটনা ঘটে, তবুও এখানে রক্ষিত ৮ লাখ ৯০ হাজার বীজ সুরক্ষিত থাকবে এবং দুর্যোগ পরবর্তী খাদ্যসংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে। এখানে অল্প কিছু মানুষের প্রবেশাধিকার আছে।