নোয়াখালীর পথে সিরাজুল আলম খানের মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১০, ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম

নোয়াখালীর পথে সিরাজুল আলম খানের মরদেহ

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্যপুরুষ’ হিসেবে পরিচিত প্রখ্যাত রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের (দাদাভাই) প্রথম জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় এ জানাজা অনুষ্ঠিত প্রথম জানাজায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দলের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পর মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে থাকাবস্থায় সিরাজুল আলম খান মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

জাসদ নেতাদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল ইসলাম খারের উদ্যোগেই ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয়ভ  তাঁর উদ্যোগেই। কখনও নেতৃত্বে না এলেও জাসদ নেতাদের সবাই তাকে ‘দাদা ভাই’ নামেই ডাকেন। কখনও জনসমক্ষে আসতেন না এবং বক্তৃতা-বিবৃতিও দিতেন না। আড়ালে থেকে তৎপরতা চালাতেন বলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে রহস্য পুরুষ হিসেবে পরিচিতি পান। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আসা চিরকুমার সিরাজুল আলম খান রাজধানীর কলাবাগানে ভাইদের সঙ্গেই থাকতেন।

সিরাজুল আলম খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাসদ শনিবার শোক পালন করছে। এর অংশ হিসেবে ভোর ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

Link copied!