পর্যাপ্ত চাল থাকার পরও দাম বাড়ছে কেন, প্রশ্ন খাদ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০৫:৩৬ এএম

পর্যাপ্ত চাল থাকার পরও দাম বাড়ছে কেন, প্রশ্ন খাদ্যমন্ত্রীর

বোরো ও আমনের বাম্পার ফলন এবং জাতীয় পর্যায়ে খাদ্যের মজুত ২০ লাখ টনের বেশি থাকার পরও কীভাবে চালের দাম বাড়ছে প্রশ্ন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার। মন্ত্রী হুঁশিয়ার করে বলেছেন, লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বৃদ্ধি বরদাশত করা হবে না।

সোমবার বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ডিসি, ডিসি ফুড ও মিলারদের সঙ্গে অবৈধ মজুদদারী ঠেকাতে ও বাজার তদারকি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর যেখানে আম্পানে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, প্রকিউরমেন্ট হয়নি, জাতীয় পর্যায়ে খাদ্যের মজুত ছিল মাত্র ৪ লাখ মেট্রিক টন সেখানেও চালের দাম বৃদ্ধি করতে দেওয়া হয়নি। অথচ এ বছর চালের দাম বাড়ছে।

তিনি বলেন, যারা অবৈধ মজুত করে চালের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য মিলাররা ধান ৩০ দিন ও চাল ১৫ দিনের বেশি মজুত করে রাখতে পাারবে না। যারা অবৈধভাবে মজুত করে রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলাররা প্রশ্ন তোলেন, তারা গত দুই মাসে চালের কোনো দাম বৃদ্ধি করেননি। যারা অবৈধ মজুতদার রয়েছে, মধ্যসত্ত্বভোগী রয়েছে তারাই চালের দাম বৃদ্ধি করছে।

এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, তাহলে যারা অবৈধ মজুদদার তাদের নাম সুনির্দিষ্ট করে বলুন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত উৎপাদন আছে, সরবরাহ আছে অথচ চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধানের যদি ঘাটতি থাকতো তাহলে আমদানি করে তা পুষিয়ে নেওয়া হতো। কিন্তু আমদানির লাইসেন্স দেওয়ার পরও তো আমদানি করেননি। ১৭ লাখ মেট্রিক টনের আমদানির অনুমতির জায়গায় মাত্র ৩ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করেছেন। তার মানে পর্যাপ্ত চাল আছে। তাহলে দাম বাড়ছে কেন? ব্যবসায় মুনাফা করতেই হয় তার মানে এই নয় যে, গলা কেটে মুনাফা করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে চালের দাম বাড়াতে হবে? এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মন্ত্রী ডিসি ও ডিসি ফুডদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

সম্মেলনে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুন নাহার, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!