পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন একধাপ এগোলো: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১২, ২০২২, ০৫:৪৫ পিএম

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন একধাপ এগোলো: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “নানিয়ারচরে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘতম এই সেতু নির্মাণের ফলে শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন আরও একধাপ এগোলো। এতে করে স্থানীয়দের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে ভূমিকা রাখবে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি করেছিলাম। এখনো শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।”

আজ বুধবার রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

একই সময় তিনি কক্সবাজারের বালুখালী থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত সংযোগ সড়কের উদ্বোধন করেছেন। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বান্দরবানের সীমান্ত সড়ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কক্সবাজারের বালুখালী থেকে বান্দরবানের ঘুনঘুম পর্যন্ত সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই সড়কটি নির্মাণের ফলে স্থানীয়দের যাতায়াত ব্যবস্থা এবং সীমান্ত সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এছাড়া পার্বত্য এলাকায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণে সেনাবাহিনী কাজ করছে।”

ভিডিও কনফারেন্সে নানিয়ারচর প্রান্ত থেকে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ অনেকে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড অধীস্থ ২০ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে 'চেঙ্গী সেতু'টি নিমার্ণ করে। চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটার ও প্রস্থ ১০ দশমিক ২ মিটার। এপ্রোচ সড়কসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় খরচ ২২৭ কোটি টাকা।

এছাড়া কক্সবাজারের বালুখালী থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম পর্যন্ত ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সীমান্ত সংযোগ সড়কের নিরমকণ ব্যয় প্রায় ৭৯ (৭৮. ৮৫) কোটি টাকা।

এদিকে, নানিয়ারচরে চেঙ্গী সেতু নির্মাণের ফলে স্থানীয় কৃষি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অর্থনীতি ও জীবন মান্নোয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

Link copied!