বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান: শি জিনপিংয়ে শুরু, মোদিতে সমাপ্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১২, ২০২১, ১১:১৫ পিএম

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান: শি জিনপিংয়ে শুরু, মোদিতে সমাপ্তি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে সরকার। আগামী ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই আয়োজন চলবে।

এই আয়োজনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সালিহ, শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী এবং ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানগণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন।

শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের কমিটির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত 'মুজিব চিরন্তন' প্রতিপাদ্যে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান হবে৷

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে কোভিড-১৯ জনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনসমাগম পরিহার করে এসব অনুষ্ঠান টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইনে প্রচার করা হবে। দশ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালায় আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিও ভিজুয়াল কনটেন্ট এবং অন্যান্য পরিবেশনা থাকবে।

দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত থাকছেন:

দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ১৭ই মার্চ, ২২শে মার্চ এবং ২৬শে মার্চের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া ১৭ই মার্চ, ১৯শে মার্চ, ২২শে মার্চ, ২৪শে মার্চ এবং ২৬শে মার্চ মোট পাঁচ দিন অনুষ্ঠানে মাননীয় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানগণ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

আগামী ১৭ই মার্চের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সালিহ, ১৯শে মার্চের অনুষ্ঠানে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২শে মার্চের অনুষ্ঠানে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী, ২৪শে মার্চের অনুষ্ঠানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক এবং ২৬শে মার্চের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।

এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত আকারে ৫শ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বাকী পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হবে। প্রত্যেকদিনের অনুষ্ঠান টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য:

আগামী ১৭ই মার্চের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন চীনের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং কানাডার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ১৮ই মার্চের অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ২০শে মার্চের অনুষ্ঠানে ওআইসি’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, ২২শে মার্চের অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, ২৪শে মার্চের অনুষ্ঠানে পোপ ফ্রান্সিস, ২৫শে মার্চের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন এবং তাকাশি হাওয়াকাওয়ার পুত্র ওসামু হাওয়াকাওয়া।

প্রতিদিন কতক্ষণ চলবে অনুষ্ঠান:

অনুষ্ঠানের সময় সম্পর্কে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৭ই মার্চ, ১৯শে মার্চ, ২২শে মার্চ, ২৪শে মার্চ এবং ২৬শে মার্চের অনুষ্ঠান বিকাল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। অন্যান্য দিনের  অনুষ্ঠান বিকাল সোয়া ৫টায় শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে আধা ঘণ্টা বিরতি থাকবে।

 

Link copied!