বাটপার নেতার পেছনে রাজনীতি নয়: কাদের মির্জা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

মার্চ ১৭, ২০২১, ০৭:৫৯ পিএম

বাটপার নেতার পেছনে রাজনীতি নয়: কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, তিনি কোনো ‘বাটপার’ নেতার পেছনে রাজনীতি করবেন না। তিনি রাজনীতি করবেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের। শেখ হাসিনার উন্নয়নের। বুধবার কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট জিরোপয়েন্টের বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়ার পর উপস্থিত অনুসারীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। তবে তার ভাষ্য অনুযায়ী ওই ‘বাটপার’ নেতা কে, তা তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেননি।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এই ছোট ভাই কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আমার নেত্রী আমাকে বলেছেন, তুমি শান্ত থাক। বিচার আল্লাহর কাছে দিব। আর সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত করে রেখেছি। সেগুলো আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিব। আমি কোনো বাটপার নেতার পেছনে রাজনীতি করব না। আমি রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে। আমি রাজনীতি করি শেখ হাসিনার উন্নয়নের।’

Qader Mirza-2
বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে ফুল দেওয়ার পর বক্তব্য রাখছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা

সকাল ১০টায় বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে ফুল দেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এ সময় সেখানে ১০০ থেকে ১৫০ জন কাদের মির্জার অনুসারী উপস্থিত ছিলেন। কাদের মির্জা এ সময় তার অনুসারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সব অনুষ্ঠান প্রজ্ঞাপন জারি করে বন্ধ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এটাও আমাদের বিরুদ্ধে, দলের বিরুদ্ধে, পৌরসভার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। এটা কোনো অবস্থাতে বরদাশত করা যায় না।’

কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকে এখানে যে চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র চলছে, তা একতরফা। আমরা মামলা দিয়েছি, আমাদের মামলা নেয়নি। আমরা আদালতে গিয়ে মামলা করেছি। একটা লোকও গ্রেপ্তার করা হয়নি। অথচ গত দুই দিনে আমাদের ১১ জন নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমাদের একজন নেতা কাঞ্চন (মাইন উদ্দিন)। তার ঘরে ডিবি ও এখানকার তদন্ত অফিসারের (পরিদর্শক–তদন্ত) নেতৃত্বে বাদল বাহিনীর দুইটা লোককে সঙ্গে নিয়ে কাঞ্চনের ঘরে ঢুকেছে। তারা ঘরে দুইটা বুলেট রেখে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।’

কাদের মির্জা ৯ মার্চের বসুরহাটের সহিংসতার ঘটনাকে কালরাত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার পৌরসভায় প্রায় দুই হাজার গুলি করেছে। একটা লোককেও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।’ কাদের বলেন, আমি কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। এখানে যত ঘটনা ঘটছে, ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলার তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। এসপি সাহেব পিবিআইকে প্রভাবিত করে মামলাগুলো ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছেন।’

কাদের মির্জা দাবি করেন, ‘নোয়াখালীর ডিসি, এসপি এবং ডিবির যে ওসি আছে, ওসি, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি-তদন্ত; তাদের প্রত্যাহার না করলে কোম্পানীগঞ্জে শান্তি আসবে না। আর কোম্পানীগঞ্জের যত ঘটনা আছে, এগুলো তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। তদন্তে যদি আমিও দোষী হই, আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

এর আগে কাদের মির্জা বলেছেন, তার ভাবী চাঁদাবাজি করেন। চাঁদার একটি ভাগ লন্ডনেও পাঠানো হয়। 

Link copied!