বাধ্য হয়েই দুদক পরিচালককে ঘুষ দেন ডিআইজি মিজান

আদালত প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ১১:২৬ পিএম

বাধ্য হয়েই দুদক পরিচালককে ঘুষ দেন ডিআইজি মিজান

অনেকটা বাধ্য হয়েই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ যুক্তি উপস্থাপনকালে এ দাবি করেন বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।

এহসানুল হক সমাজী বলেন, “গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন, ফোন রেকর্ড ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য থেকে এটা প্রমাণিত যে, ডিআইজি মিজান বাধ্য হয়ে খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। তাই চাপের মুখে বাধ্য হয়ে ঘুষ দেওয়াটা অপরাধের মধ্যে পড়ে না। তাছাড়া, এই ৪০ লাখ টাকার বৈধতা সম্পর্কেও কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। তাই, তিনি খালাস পাওয়ার যোগ্য। আমরা বিজ্ঞ আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি।”

পরে বরখাস্ত হওয়া দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে তার আইনজীবী  সৈয়দ রেজাউর রহমান সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত আসছে ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। তিনি দুই আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।

গত ৩ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন মিজানুর রহমান এবং এনামুল বাছির। এরপর তারা ১২ জানুয়ারি লিখিত বক্তব্য জমা দেন।

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।

Link copied!