ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় খালাস সালাউদ্দিন, ফিরতে চান দেশে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২, ২০২৩, ০১:৪৯ এএম

ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় খালাস সালাউদ্দিন, ফিরতে চান দেশে

ভারতের কারাগারে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই। শিগগিরই তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন। অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের শিলংয়ের জজ আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেয়।  

একই সাথে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরার ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালাউদ্দিন আহমদ নিজেও বিষয়টি জানিয়েছেন।

ওই সাক্ষাৎকারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ তাঁর দেশে ফেরার বিষয়ে আগের রায় বহাল রেখেছে। দেশে ফিরতে তাঁর কোনো বাধা নেই। শিগগিরই তিনি দেশে ফিরতে চান। তবে বাকিটা আইনি প্রক্রিয়া ও দেশটির সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ‘নিখোঁজ’ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ওই সময় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩-বি নম্বর সড়কে ৪৯-বি নম্বর বাড়ির, ২-বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছিল।

নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে। এরপর তাঁকে শিলংয়ের একটি মানসিক হাসপাতাল ও পরের দিন শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাঁকে গ্রেফতার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই শিলং নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।

অভিযোগ গঠনের তিন বছর পর ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর শিলং নিম্ন আদালতের রায়ে  বেকসুর খালাস পান সালাহউদ্দিন আহমেদ।তবে ভারত সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তিনি আর দেশে ফিরতে পারেননি।

আপিলের চার বছর পর মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নিম্ন আদালতের ওই রায় বহাল রেখে নতুন রায় দেন শিলং জজ আদালত। সেই সাথে ভারত সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সালাহউদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। 

Link copied!