ভ্যাকসিন নিয়ে বেইজিংয়ের ব্যবসায়িক চিন্তাধারা নেই: চীন

ডেস্ক রিপোর্ট

আগস্ট ১০, ২০২১, ০৭:০৩ পিএম

ভ্যাকসিন নিয়ে বেইজিংয়ের ব্যবসায়িক চিন্তাধারা নেই: চীন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে চীন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন উৎপাদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও উৎপাদান সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে যাবে বলেও জানায় দেশটি।

বাংলাদেশে অবস্থিত চীনের দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সহযোগিতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরামের সভায় চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এসব কথা বলেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সভাপতিত্বে ও ওয়াং ই’র সঞ্চালনায় ওই আন্তর্জাতিক বৈঠকে  চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্যে ওয়াং ই বলেন, ভ্যাকসিনের ব্যপারটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবজাতির সংগ্রামে টিকে থাকার একটা উপায় হওয়া উচিত। সুষ্ঠু ও যৌক্তিকভাবে  বিশ্বব্যাপী এই ভ্যাকসিনের বন্টন হওয়া উচিত বলে মনে করে চীন। প্রকৃত অর্থে মানুষের ভ্যাকসিনের  প্রয়োজনের জন্যই ভ্যাকসিন উৎপাদন করা উচিত, এখানে কোনো অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য থাকবে না।  

গত মে মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ৭৩ তম বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদে দেওয়া ভাষণে প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন, তার দেশ বিশ্বের জনগণের জন্য ‘পাবলিক গুড’ হিসেবে ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করবে।

শি জিনপিংয়ের ওই প্রতিশ্রতির কথা তুলে ধরে  চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, চীন কথার বরখেলাপ করে না। চীন বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশকে প্রয়োজনের সময় ভ্যাকসিন দিয়ে সহায়তা করছে এবং ওইসব দেশকে সংক্রমণ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহযোগিতা করছে।

ওয়াং ই আরও বলেন, চীন বিশ্বের একশোটি দেশকে ভ্যাকসিন অনুদান হিসেবে দিয়েছে ও দিচ্ছে এবং ৬০টিরও বেশি দেশে ৭৭ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রপ্তানি করেছে।

ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত ওই সভায় থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, তুরষ্ক, চিলি, ডোমিনিকান রিপাবলিক, কলম্বিয়া, মিশর, হাঙ্গেরী, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া মেক্সিকো, মরক্কো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন্স, সার্বিয়া, শ্রীলংকা, ইকুয়েডর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, ওই সভায় জাতিসংঘ,  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), বিশ্বের সব দেশের মানুষের সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক পাওয়া নিশ্চিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গঠিত গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস(গ্যাভি) এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম-কোভ্যাক্স এবং  ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী চীনসহ বিশ্বের ২৯টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা সভায় বক্তব্য রাখেন।  

Link copied!