বেটা
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
আগস্ট ৩১, ২০২২, ০৬:১১ এএম
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচলেটের বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ভুল তথ্য প্রচার করেছে।জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রবিনা শ্যামদাসানি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা দুঃখের সঙ্গে বলছি যে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।”
বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি বলে দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে তথ্য প্রকাশিত হয়।
বিবৃতিতে রবিনা শ্যামদাসানি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে হাইকমিশনার বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে বৈঠকে মানবাধিকারসংক্রান্ত অনেক বিষয় নিয়ে তাঁর উদ্বেগ তুলে ধরেছেন। ঢাকা সফর শেষে তাঁর দেওয়া বিবৃতিতেও এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে।বাংলাদেশের মানবাধিকারসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে হাইকমিশনার বিস্তৃত কথা বলার কারণে মেয়াদপূর্তি উপলক্ষে ২৫ আগস্ট জেনেভায় দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বৈশ্বিক বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করেন।
ওই বিবৃতিতে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, খাবার, জ্বালানি তেল ও অর্থনৈতিক সংকট, সুশীল সমাজের কথা বলার অধিকারের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এসব বিষয় সব দেশেই রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত। সেখানে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়টি উঠে আসে, ওই দিনই ছিল রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের বছরপূর্তি। তা মানবাধিকার নিয়ে ‘বৈশ্বিক প্রতিবেদন’ ছিল না।’’
বিবৃতিতে রবিনা শ্যামদাসানি’র বলেন, “বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকায় দেওয়া বক্তব্যে মিশেল ব্যাচলেট বলেছিলেন, মানবাধিকারসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করার প্রথম ধাপই হলো সেগুলো স্বীকার করে নেওয়া। হাইকমিশনার যেসব সুপারিশ করেছেন, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঢাকাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর। পাশাপাশি বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা ও তা এগিয়ে নিতেও সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, ১৪ থেকে ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করেন মিশেল ব্যাচলেট। সফর শেষে ঢাকা ত্যাগের আগে সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলে তা অস্বীকার না করে আমলে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ওই সময় বলেন, তিনি বাংলাদেশে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো সুরাহার স্বার্থে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীতার কথাও বলেছেন। ৩১ আগস্ট (বুধবার) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার মেয়াদ শেষ উপলক্ষ্যে গত ২৫ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বক্তব্য রাখেন মিশেল ব্যাচলেট।
