মামলাজট নিরসনে আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ ও নিম্ন আদালতের বিচারক সংখ্যা দ্বিগুণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। মামলার জট কমাতে সর্বোচ্চ স্তরের বিচারকদের আরও পরিশ্রম করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, “বিপুল সংখ্যক মামলার জট এখন বিচার বিভাগে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জট কমাতে পর্যায়ক্রমে আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ ও নিম্ন আদালতের বিচারক সংখ্যা দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।
দেশের গণতন্ত্রের উন্নয়নে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার তাগিদ দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এ তিন অঙ্গের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গণতন্ত্র বিকশিত করে।”
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাচ্ছেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তবে ১৬–১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি। আর ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শুরু। তাই বুধবারই(১৫ ডিসেম্বর) শেষ কর্মদিবস বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের।
রীতি অনুযায়ী শেষ কর্মদিবসে প্রধান বিচারপতিকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। এদিকে অবমূল্যায়নের অভিযোগ এনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল অভিযোগ করে জানান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদের সঠিক ওয়েতে জানানো হয়নি বলে তারা সংবর্ধনা বর্জন করেছেন।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০১৮ সালে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিএসসি ডিগ্রি পাওয়ার পর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এলএলবি সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৮১ সালে জেলা জজ আদালতে ও ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে গেলে আপিল বিভাগে বিচারপতি থাকবেন চারজন।