যুক্তরাষ্ট্র্রের সব সিদ্ধান্ত সঠিক নয়, নিষেধাজ্ঞা পরিবর্তনে চেষ্টা চালাব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ১৫, ২০২১, ০১:৫২ এএম

যুক্তরাষ্ট্র্রের সব সিদ্ধান্ত সঠিক নয়, নিষেধাজ্ঞা পরিবর্তনে চেষ্টা চালাব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পরিবর্তনে প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। দেশটির সকল সিদ্ধান্ত সঠিক নয়;এর ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আসন্ন সফর উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

যুক্তরাষ্ট্রে বছরে লাখ লাখ মানুষ নিখোঁজ এবং দেশটির পুলিশের গুলিতে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের কোনো শাস্তি দেওয়া হয় না। সুতরাং দেশটির প্রশাসনের সকল সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

র‌্যাব এবং তার সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে উত্তর দেব। একা হুট করে উত্তর দেওয়া ঠিক হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়। আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে দেশে নাকি ৬০০ লোক নিখোঁজ হয়েছে। ছয় লাখ আর ছয়শ!”

মার্কিন প্রশাসনের দেওয়া তথ্যের বিবরণ দিয়ে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রতিবছর সেখানে হাজারখানেক লোককে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলে। আর আমাদের এখানে কালেভদ্রে একজন-দুজন মারা যায়। কিন্তু আমেরিকায় যে এত লোক মারা যায়, এ নিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম-টাধ্যম খুব... কারণ তারা মনে করে, লাইন অব ডিউটিতে এই কাজটা করেছে।”

যুক্তরাষ্ট্রে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন পদক্ষেপের সমালোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে যারা এসব করছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি নেওয়ার কথা আমি কোনো দিন শুনিনি। কিন্তু বাংলাদেশে হঠাৎ কোনো কোনো লোকের প্ররোচনায়, কোনো কোনো সংস্থা বিশেষ করে, মানবাধিকার ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কারণে এমন বড় একটি সিদ্ধান্ত আলোচনা না করে চাপিয়ে দেওয়া হলো।”

আবদুল মোমেন বলেন, “আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করছি। হঠাৎ না জানিয়ে কেন এটা করা হলো আমরা এটি ওদের সঙ্গে আলোচনা করব।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “ওদের সব সিদ্ধান্ত সঠিক এমন নয়, এর ভূরি ভূরি নজির আছে। তাদের মধ্যে পরিপক্ব ও জ্ঞানী লোক আছে। তারা যাতে তাদের অবস্থার পরিবর্তন করে সেই প্রচেষ্টাই চালাব।”

Link copied!