সমাবেশ করেছে, রাস্তায় নামতে পারেনি হেফাজত

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২, ২০২১, ০৯:৫১ পিএম

সমাবেশ করেছে, রাস্তায় নামতে পারেনি হেফাজত

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি জুমার নামাজের পর সমাবেশ ও বক্তৃার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। সেসময় বিক্ষোভ সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের বাড়তি সতর্কতা দেখা গেছে। জুমার নামাজের আগেই মসজিদসহ আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। নামাজ শেষে ১টা ৪০ মিনিটের দিকে মসজিদের উত্তর পাশের গেটে সীমানার ভেতরে সিঁড়িতে অবস্থান নেয় তারা। সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সেসময় হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশে হেফাজত নেতাকর্মীদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘আমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রত্যেকটি গ্রামের প্রতিটি ঘরের কোনো মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না। প্রত্যেক রাতে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ভাই স্বজন মারা গিয়েছে তারা আজ আতঙ্কগ্রস্ত। আজকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের স্থানীয় সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ্য করে হেফাজতের এ নেতা বলেন, ‘যে এমপির নির্দেশে মিছিল নিয়ে ইউনুছিয়া মাদ্রাসা আক্রমণ করা হল, ককটেল মারা হল তাকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হলো না। মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলো না। আমরা সমাবেশ থেকে জানাতে চাই অনতিবিলম্বে মুক্তাদির চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হোক। মুক্তাদিরের নেতৃত্বে যারা অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

এর আগে হেফাজতের এ পূর্বঘোষিত সমাবেশ ঘিরে দুপুর থেকেই মসজিদের উত্তর গেটের ভেতরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন। এছাড়া পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড় ও এর আশপাশের এলাকায় বাড়তি পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।

যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান ও সাজোয়া যান। প্রেসক্লাব, কাকরাইল মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের এলাকাতেও পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা যায়।

এছাড়া, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এদিকে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির নজরদারির জন্য পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। যে কোনো ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নামাজের আগে থেকেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবস্থান নিতে শুরু করেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। নামাজ শেষ হওয়ার পর পরই তারা বিক্ষোভে অংশ নেয়। তবে বিক্ষোভ সমাবেশের বাইরে গাড়ি চলাচলের সড়কে কোনো মিছিল বা অবস্থান করবে না বলে জানানো হয়েছে।

Link copied!