রাতভর ইবাদত বন্দেগীতে লাইলাতুল কদর পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ১০, ২০২১, ০২:৪২ পিএম

রাতভর ইবাদত বন্দেগীতে লাইলাতুল কদর পালিত

জীবনের গুনাহ খাতা মাফ, পরিবারে শান্তি সুখ সমৃদ্ধি, পরকালে বেহেস্ত ও অধিক সওয়াবের আশায় রবিবার  (৯ মে) রাত জেগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, নফল ইবাদত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেকদর পালন করেছেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান জনগণ।তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারনে এবারে মসজিদে বেশি মানুষের উপস্থিতি ছিল না। বেশিরভাগ ধর্মপ্রাণ মানুষ বাসায় ইবাদত-বন্দেগি করেছেন।

হাদিস শরিফে আছে, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে, ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। শবে কদরের এ রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআন শরিফে ‘আল-কদর’ নামে একটি সূরাও নাজিল হয়।পবিত্র ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, অন্যান্য সময় এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের এই রাতে ইবাদত করলে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানেরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশের ও সারাবিশ্বের মানুষকে রক্ষায় শবে কদরের রাতে বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া, যার া নিজেগৃহে ইবাদত বন্দেগী করেছেন তারাও মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন। পবিত্র এই রাতে অনেকে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেছেন।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রবিবার রাতে পবিত্র শবে কদরের ফজিলত ও করণীয়’ শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ, কিয়াম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এছাড়া, রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য এবং দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

 

Link copied!