সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ১২, ২০২১, ১০:৫৩ পিএম

সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে: ফখরুল

রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ের মাধ্যমে 'সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে'। রেইনট্রি হোটেল ধর্ষণ মামলায় রায়ের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) একটা মামলার রায় হয়েছে। রেইনট্রি হোটেলে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলাতে যেটা দেখা যাচ্ছে, আমরা যেটুকু দেখছি পত্রিকাতে.. ঘটনা ঘটেছে স্বীকার করা হচ্ছে, আদালতেও স্বীকার করছে। কিন্তু রায় হচ্ছে কী? বেকসুর খালাস।'

তিনি বলেন, 'কেনো তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে? কারণটা কী? কারণটা হচ্ছে যে, যারা যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, যাদেরকে একুইজড করা হয়েছে- দে আর সো পাওয়ারফুল। তাদের এতো টাকা! জুয়েলারি, এমপি…এই সমস্ত। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে সমস্ত নারী জাতিকে অপমান করে এদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, হতাশ হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। এই ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না,' ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন।

বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণের শিকার মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। এসকে সিনহাকে (সাবেক প্রধান বিচারপতি) বন্দুক দেখিয়ে দেশ থেকে বের করে দিলেন। কী কারণে? উনি একটা রায় দিয়েছিলেন বিচারক নিয়োগ করবার যে ব্যবস্থা ছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, বিচারকদের অভিসংশনের ব্যাপারে।'

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ২ তরুণীকে ধষর্ণের আলোচিত মামলার রায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামির সবাইকে খালাস দেন।

ওই রায়ে বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নিতে।

ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২০১৭ সালের ৬ মে বনানী থানায় গিয়ে একটি মামলা করেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, এক মাসের বেশি সময় আগে ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের এক অনুষ্ঠান ডেকে নিয়ে তাকে এবং আরেক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো। ওই তরুণীর মামলার প্রধান আসামি ছিলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ। এছাড়া সাফাতের ২ বন্ধু, দেহরক্ষী ও গাড়িচালককে আসামি করা হয়।

'সেটা সরকার মেনে নিতে পারেনি। তারপর কী হলো? তাকে একেবারে বন্দুক ঠেকিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়া হলো … আমরা তো দেখেছি এগুলো, নামও জানি আমরা। তার মধ্যে একজন চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে, ল' সেক্রেটারিও ছিলেন সেটার মধ্যে।'

Link copied!