সম্রাটের জামিন স্থগিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার

আদালত প্রতিবেদক

মে ১৭, ২০২২, ০৭:৩১ পিএম

সম্রাটের জামিন স্থগিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন স্থগিত হবে কি না সে বিষয়ে আগামীকাল বুধবার (১৮ মে) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৭ মে) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আজকে তার জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষ করা হয়েছে।  

সাংবাদিকদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুলশীদ আলম খান। মঙ্গলবার শুনানির জন্য ৬৯ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছিল এ আবেদনটি।  

এর আগে গত ১২ মে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, এই মুহূর্তে কোর্ট বন্ধ থাকায় আমরা সোমবার সম্রাটের জামিন আবেদন করবো। সম্রাটের বিরুদ্ধে ৪টি মামলার মধ্যে একটি ছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) মামলা। এ মামলাতেই তিনি জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করবেন।  

গত ১১ মে বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

সম্রাটের জামিন দেওয়া হয় তার মেডিকেল রিপোর্ট জমা না হওয়া পর্যন্ত।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের এবং অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর যুবলীগের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেই সময়ের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

পরে সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। সবগুলো মামলায় ইতোমধ্যে তিনি জামিন পেয়েছেন। সব মামলায় জামিন হওয়ায় তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
 
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

Link copied!