স্বামীর মতের বিপরীতে কথা বললেই নির্যাতনের শিকার: গবেষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ১১:২৫ পিএম

স্বামীর মতের বিপরীতে কথা বললেই নির্যাতনের শিকার: গবেষণা

স্বামীর মতের বাইরে কথা বললেই নির্যাতনের শিকার হতে হয় নারীদের। বিষয়টিকে স্বামীরা ‘তর্ক’ হিসেবে দেখেন। কোন বিষয়ে বিপরীত মতামত পোষণ করলেই স্বামীর দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন বেশিরভাগ নারী।

দেশব্যাপী নারীর প্রতি সহিংসতার ওপর করা একটি গবেষণায় স্ত্রীকে মারধরের আরও কয়েকটি বিশেষ কারণ উঠে আসে। ইউনিসেফের অর্থায়নে দেশব্যাপী মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে-২০১৯ ডাটাবেজের তথ্যের ভিত্তিতে করা গবেষণা নিবন্ধটি গত ৪ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের ‘বায়োমেড সেন্ট্রাল সাইক্যাট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় উঠে আসে, শহুরে ১৭ শতাংশ ও গ্রাম্য ২২ শতাংশ নারী স্বামীর সঙ্গে তর্ক করার কারণে স্বামীর হাতে মারধরের শিকার হন। এছাড়া সন্তানের প্রতি অবহেলার কারণে শহুরে ১৩ শতাংশ এবং গ্রাম্য ১৬ শতাংশ, যৌনমিলনে অসম্মতির কারণে শহুরে ৮ শতাংশ ও গ্রাম্য ১০ শতাংশ, স্বামীকে না বলে বাইরে যাওয়ার কারণে শহুরে ১০ শতাংশ ও গ্রাম্য ১৪ শতাংশ নারী মারধরের শিকার হন। তবে গ্রাম্য ৬.৮ শতাংশ ও শহুরে ৫.১ শতাংশ নারী বিশ্বাস করেন, রান্নার সময় খাবার পুড়ে গেলে স্বামীর মারধর করার অধিকার আছে।

বিশ্বের প্রতি তিনজন নারীর একজন জীবনের কোনো না কোনো সময় ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতার (ইন্টিমেট পার্টনার ভায়োলেন্স-আইপিভি) শিকার হন বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর কাছ থেকে পাওয়া সহিংসতার হার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০ শতাংশ, ইউরোপসহ ধনী দেশগুলোতে ২২ শতাংশ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে আমেরিকা অঞ্চলে ২৫ শতাংশ, আফ্রিকা অঞ্চলে ৩৩ শতাংশ, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ৩১ শতাংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৩৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ৪২ শতাংশ, যেখানে সারা পৃথিবীতে ৩০ শতাংশ।

দেশের আটটি বিভাগ থেকে ১৩ হাজার ৩৩ জন শহুরে এবং ৫১ হাজার গ্রাম্য নারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরাও এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। যাদের বয়স ছিল ১৫ থেকে ৩৯ বছর।

Link copied!