২২ এপ্রিল গণপরিবহন চালুর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২১, ২০২১, ০৭:৫৪ পিএম

২২ এপ্রিল গণপরিবহন চালুর দাবি

আগামী ২২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। সারা দেশে যাত্রীবাহী বাস চলাচলের এই দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। গত ২০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

জানা গেছে, পরিবহন খাতের আরও কয়েকজন নেতা ২২ এপ্রিল থেকে সড়কে গণপরিবহন চালুর জন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে চাপ তৈরি করে চলেছেন। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরি সেবাদানে জড়িত চিকিৎসক ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের পরিবহন করছে বিআরটিসির বাস। তবে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করছে।

বাস ও মিনিবাস মালিক ও শ্রমিকরা কর্মহীন রয়েছেন। বিষয়টি তুলে ধরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে- দেশের অর্থনীতির অন্যতম খাত পরিবহন শ্রমিকদের এই দুঃসময়ে প্রধানমন্ত্রী আপনাকে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই। করোনার সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী সমস্যার অংশ হিসেবে দেখে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ এবং করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের চলমান প্রচেষ্টাকে সফল করার পাশাপাশি, দুর্যোগ পরবর্তী অর্থনীতি সচল করতে এই শ্রমজীবীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি। কাজেই পরিবহন শ্রমিকদের রক্ষা করতে দেশব্যাপী ক্রিয়াশীল ট্রেড ইউনিয়ন থেকে তালিকা সংগ্রহ করে তালিকাভুক্ত কর্মহীন পরিবহন শ্রমিকদের জন্য বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে ত্রাণ, আর্থিক অনুদান বা ওএমএস এর পণ্য সরবরাহ অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার নির্দেশ দিলে সারা দেশের ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক কৃতজ্ঞ থাকবে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনসমাগম এড়াতে প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে এ বিধিনিষেধ আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সে সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু ছিল।এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য অফিস ও সব ধরনের পরিবহন এবং শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখা ছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। তবে শিল্প-কারখানার কার্যক্রমের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। 

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।

Link copied!