‘জিয়া হত্যার তদন্তেই বেরিয়ে আসবে কফিনে লাশ ছিল কিনা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২৯, ২০২১, ১০:৪৩ পিএম

‘জিয়া হত্যার তদন্তেই বেরিয়ে আসবে কফিনে লাশ ছিল কিনা’

রবিবার(২৯ আগস্ট) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বারডেম আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত জানিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তদন্ত হলেই কফিনের মধ্যে কী ছিল তা বেরিয়ে আসবে। সেদিনের সেই ঘটনায় অনেক মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই সময়ে যারা বেঁচেছিলেন তারা পরবর্তীতে অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। সেগুলো এখন বড় প্রশ্ন। কাজেই সেটারও একটা রহস্য উদ্ঘাটন করা দরকার।

বিএনপি একটি ‘পলিটিক্যাল ডেডবডিতে’ (রাজনৈতিক মৃতদেহ) পরিণত হয়ে গেছে মন্তব্য করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে মীর্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর তথ্যভিত্তিক বক্তব্যকে হাস্যকর বলছেন; তার চিকিৎসা করানো দরকার। এটা দিবালোকের মতো আমরা দেখতে পাচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,  দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধির রাজনীতিতে কিছু মতলববাজ তাদের মতলবগুলোকে বাস্তবায়ন করতে পারছেনা বলেই, সরকারের কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্বে যারা আছেন, সরকারি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে সরকারের একটা দ্বন্দ্ব তৈরি করার জন্য এই মতলববাজরা আজকে প্রস্তুত হয়েছে। যেন সরকারের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

জিয়া পরিবারকে অপরাধী ও খুনী পরিবার মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের একটি হত্যাকাণ্ডকে জায়েয করার জন্য কত হত্যাকাণ্ড করেছে জিয়াউর রহমান। যদি সেনাবাহিনীর মধ্যেই চিন্তা করি, ১৮টি ক্যু হয়েছে, সেই হত্যাকাণ্ডকে জায়েয করার জন্য শত শত নয়, হাজার হাজার শুধু সেনাসদস্যকেই হত্যা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্খিত গর্বের জায়গায় পৌঁছতে পেরেছে জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকারী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে সেই গর্ব ও অহংকারের জায়গায় আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এখন আর দরিদ্র দেশ নই। ঋণগ্রস্ত দেশ নই। আমরা এখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করতে পারি। আমরা এখন পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছি ।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ বারডেম শাখার সভাপতি অধ্যাপক মীর নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন(বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী।  অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

Link copied!