‘নিষেধাজ্ঞা থাকা জাহাজে পণ্য পাঠিয়েছে রাশিয়া, আমরা এটি আশা করিনি’

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ১২:১৪ এএম

‘নিষেধাজ্ঞা থাকা জাহাজে পণ্য পাঠিয়েছে রাশিয়া, আমরা এটি আশা করিনি’

রাশিয়া জেনেশুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজে বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য ঢাকায় পাঠানোর ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।  

রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজের ব্যপারে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কাছে তাজ্জব লেগেছে যে রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞা আছে—এমন জাহাজের নাম পরিবর্তন করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য পাঠিয়েছে। আমরা এটি আশা করিনি।’

রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এর বাইরে তাদের কয়েক হাজার জাহাজ আছে। আমরা আশা করি, রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞা নেই এমন একটি জাহাজে পণ্যগুলো পাঠাবে।”

ড. মোমেন বলেন, “আমরা রাশিয়াকে বলেছি, তাদের যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো ছাড়া অন্য যেকোনো জাহাজে পাঠাতে পারে। নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না।” এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা ‘উরসা মেজর’ নামের একটি জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল রাশিয়া। গত ২৪ ডিসেম্বর রুশ পতাকাবাহী ওই জাহাজটির  মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে আগেভাগে গত ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, জাহাজটি আসলে ‘উরসা মেজর’ নয়—এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ।

বিষয়টি যাচাই করে নিশ্চিত হলে জাহাজটিকে মোংলা বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে বাংলাদেশ। পরে জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে সরঞ্জাম খালাসের খালাসের জন্য জাহাজটি ভারত সরকারের অনুমতি চেয়ে ব্যর্থ হয়। এমতাবস্থায় বছরের ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি। বর্তমানে এটি চীনের একটি বন্দরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে।

Link copied!